গর্ভবতী হয়েছিল এবং কোনও কারণে
গর্ভ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, সে
ক্ষেত্রেও এমনি ঘটা সম্ভব।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পশু চিকিৎসা বিভাগের রোগ অনুসন্ধান আধিকারিক ডাঃ পরিতোষকুমার বিশ্বাস আমাদের এই বিষয়ে তথ্যগুলো জানিয়েছিলেন।
ব্যাপক প্রচারের পাশাপাশি বনগাঁ সায়েন্স ক্লাব ও কমল বিশ্বাসের নেতৃত্বে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ঠাকুরনগর শাখা ৪৫ জন রোগীর উপর অনুসন্ধান চালান। ৬ জন জানান সম্পূর্ণ সেরে গেছেন। ৫ জন জানান মোটামুটি ভাল আছেন। ৩৪ জন জানান রোগ একটু কমেনি, বরং অনেকের বেড়েছে।
ডাব-বাবার তুলনায় মেহেবুব আলির রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণ ব্যাপক যুক্তিবাদী প্রচারের ফলে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে অলৌকিক দুধ (?) বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি।
আজ থেকে প্রায় ৪২ বছর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত হরেন্দ্রনাথ চৌধুরীর দুই ছেলের জমিতে বাবা তারকনাথের আদেশক্রমে (?) মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগ্রহ পাথরের। সাধারণের কাছে প্রচলিত এটি ‘ভুঁইফোড় শিব’। সেবাইত বাসুদেব দাস। লণ্ড্রিতে কাজ করতেন। বর্তমানে অবতার। ছোটবেলা থেকেই নাকি তারকনাথকে দেখছেন, তারকনাথের সঙ্গে খেলেছেন। রোগীদের পরপর চার সপ্তাহ প্রতি সোমবারে মন্দিরে গিয়ে নিজের রোগের কথা জানাতে হয়। ভোলাবাবার আদেশমতো বাসুদেব ওষুধ দেন। ওষুধ বলতে বাবার স্নানজল, ফুল-বেলপাতা ইত্যাদি রয়েছে।
মন্দিরে রোগমুক্ত রোগীদের নাম-ঠিকানা ঝোলান রয়েছে। যত বড় রোগই হোক না কেন সব রোগেই মুশকিল আসান হয়। জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা ‘আলোকপাত’-এর পাতায় রঙিন ছবিসহ অলৌকিক তারক ভোলার কাহিনি প্রকাশিত হওয়ার পর বাবার রমরমা বেড়েছে।
ওঁ
নূতন তীর্থ তার ভোলার মন্দির
আশ্চর্য পুরুষ শ্রীশ্রীবাসুদেব।
যুগে যুগে—এ যুগেও নিজের জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে শত শত মুমূর্ষু মানুষকে মুক্তি দিয়ে যাও তাই তোমাকে আমি চিরকাল মাথায় করে রাখি।
আর ভক্তের অন্তরে ধ্বনিত হয় যে কথা—
বহু যুগ থেকে তুমি আজও আছ সাথে সাথে আস যাও, কর খেলা সবই থাকে