পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাধুসন্তদের অলৌকিক ক্ষমতা
১২৩

হৃদয়ে গাঁথা। তবুও যখন তুমি করগাে খেলা কারাে সাধ্য কি তােমায় ধরা? জীবের তরে যাতনা সহে আপন জীবন বিলায়ে দিয়ে শাস্তি আন বহু প্রাণে, তাই কত মানুষ ছুটে আসে ভালবেসে তােমার টানে, ধন্য তারা তােমার নামে।

 আমাদের ঠাকুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমস্ত মানুষকে জানাই নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। হে মুমূর্ষ-পীড়িত ব্যাধিগ্রস্থ মানুষ এই তীর্থ ও সেবাইত আপনাদের সেবায় সর্বদাই ব্যস্ত।'

তারকভােলার মন্দির

 মন্দিরে ঝােলানাে নাম ঠিকানা ধরে আটজন রােগীর সঙ্গে যােগাযােগ করে আমাদের সমিতি। দেখে রিঙ্কা মজুমদারের শ্বেতী সারেনি। মাধবী মজুমদারের জীবনে স্টোভ বাস্ট করে দৃষ্টি হারাবার ঘটনাই ঘটেনি। শ্যামাপদ দত্তের মানসিক ভারসাম্যের অভাব এখনও আছে। চন্দন দাস ক্যানসারের আক্রমণ থেকে মুক্ত হয়নি। সনকা পালের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে তার বাস্তব কোনও অস্তিত্ব নেই। সুদীপ দাস মৃগীরােগ থেকে মুক্ত হতে এখনও বাবার স্নানজল ও চিকিৎসকের নির্দেশমতাে ওষুধ দুটোই গ্রহণ করে চলেছেন। ওষুধ বন্ধ করে পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। সেক্ষেত্রে অসুস্থতা বেড়েছে। রুমা ঘােষ নাকি জলের ভুলে হাত ও পায়ের অসাড়তার শিকার হন। বাবা পঞ্চানন ঘােষ বলতে পারেননি কত বছর হল অসুখ হয়েছিল। কোন চিকিৎসক চিকিৎসা করেছিলেন। দেখাতে পারেননি চিকিৎসকের কোনও নির্দেশ-পত্র। আর একটি তথ্য এখানে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ সেবাইত বাসুদেব সম্পর্কে রুমার নাকি কাকা। সাবিত্রী পাল অশ্রুমুক্ত হয়েছেন। বাবা কিছু গাছ-গাছালি দিয়েছিলেন। অর্শ অনেক সময় নিজে থেকেই রক্তপাত বন্ধ রাখে। এ বিষয়ে আগেই আলােচনা করেছি। এছাড়া আরও একটি সম্ভাবনা