পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাধুসন্তদের অলৌকিক ক্ষমতা।
১৩৩

আবিষ্কারকে। ভারত অলৌকিক, অবতার ও ঋষিদের পুণ্য-ক্ষেত্র।

 আলােচনার প্রসঙ্গকে টেনে আনলাম সদানন্দের একটি বিশেষ দাবির দিকে। বললাম, আপনি জানিয়েছেন মন্ত্রশক্তিতে ইচ্ছুক রমণীকে আপনি মাতৃত্ব দানে সক্ষম। এই মন্ত্র আপনি কোথা থেকে পেলেন?

 আমার প্রশ্নের উত্তরে সদানন্দ আবার ঋষিদেরই টেনে আনলেন। জানালেন, আড়াই-তিন হাজার বছরের প্রাচীন এই মন্ত্রের স্রষ্টা ভারতের প্রাচীন ঋষি। তাদের কাছ থেকেই শিষ্য পরম্পরায় এই মন্ত্র এসেছে আমার কাছে।

 পুলক ঘােষ পরিচয়ের আমি সদানন্দের কাছে আমার সমস্যার কথা বলতে গিয়ে ফুলবাবার কাছে যে গল্প ফেঁদেছিলাম, সেটাই ফাদলাম—আজ পর্যন্ত ঘরণী জোটার গল্প। ভগবান সদানন্দ আমার কাহিনিকে সত্য বলে ধরে নিয়ে আবারও প্রমাণ করলেন তিনি সাধারণ মানুষ মাত্র।

 ভরসা দিলেন এবার শিগগির বিয়ে হবে। বাবাকে নিয়ে সমস্যার কথা বললাম। বললাম, এমন কাজ করি, যখন-তখন যেখানে-সেখানে দৌড়তে হয়। বাড়িতে থাকেন তখন বৃদ্ধা মা ও বৃদ্ধ বাবা। বাবা হাঁপানি-রােগী। মাঝে-মাঝে রাত-দুপুরে এখন-তখন অবস্থা হয়। ডাক্তার, অক্সিজেন—বৃদ্ধা মায়ের পক্ষে চাপ সামলানাে মাঝে-মাঝে অসম্ভব হয়ে পড়বে। বাবাকে কি সুস্থ করা সম্ভব নয়?

 সদানন্দ শান্ত গলায় বললেন, এই ধরনের অবস্থাই চলবে। '৯০ সাল পর্যন্ত বাঁচবেন।

 ছদ্ম-পরিচয়ের আমি তখনই জানাতে পারলাম না আমার বাবা বছর দুয়েক আগে মারা গেছেন। আর, হাঁপানি কেন, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কোনও দিনই তেমন অসুখ-বিসুখে ভােগেননি। বরং বলা চলে খুবই নীরােগ স্বাস্থ্যের, প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরা মানুষ ছিলেন।

 সদানন্দের দাবি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৯ একটি চিঠি দিই। চিঠিটি এখানে তুলে দিলাম।

২৬.১২.৮৯

শ্রীসদানন্দ দেবাঠাকুর
“আনন্দধারা”
৭ অশ্বিনী দত্ত রােড,
কলকাতা-৭০০ ০২৮

মহাশয়,

 বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আপনার ভক্তদের দেওয়া কিছু বিজ্ঞাপন আমার চোখে পড়েছে। বিজ্ঞাপনগুলােতে আপনাকে অলৌকিক সিদ্ধ-পুরুষ’, ‘দেবপুরুষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বছর দু-আড়াই আগে একাধিক সন্ধ্যায় আপনার আশ্রম থেকে প্রকাশিত দু-একটি বই আমাকে উপহার দিয়েছিলেন। তারই একটি—‘পরমপুরুষ