পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৭১
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)
১৭১

অধ্যায়: আট

ঈশ্বর দর্শন ও ভ্রান্ত অনুভূতির রকমফের

বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ধর্মীয় বহু সাধকদের সম্বন্ধেই প্রচলিত আছে, তারা ঈশ্বরের দেখা পেয়েছেন। যাঁরা ঈশ্বর দেখেছেন বা ঈশ্বরের বাণী নিজের কানে শুনেছেন বলে দাবি করেন, মনােবিজ্ঞানের চোখে তারা মানসিক রােগী মাত্র। ঠিকমতাে চিকিৎসা হলে তাদের এই ধরনের মানসিক ভ্রান্তি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারা আবার ফিরে আসতে পারেন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে। মনােবিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের ভ্রান্ত অনুভূতিকে বলা হয় illusion' ‘hallucination, delusion’, ও ‘paranoia' ইত্যাদি। মনােবিজ্ঞান কিন্তু একজন মানুষের মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু কোষকে নিস্তেজ রেখে hallucination (হালুসিনেশন) বা delusion (ডিলিউশন)-এর অবস্থা সৃষ্টি করে ঈশ্বরের দেখা পাওয়া, ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ জেমস ওল্ড, সুইজারল্যাণ্ডের প্রখ্যাত
মনােবিজ্ঞানী ডঃ ওয়াল্টার হেজ, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ জে,
ডেলাগাজো সহ বিশ্বের বহু মনােবিজ্ঞানী এবং এই লেখক
বহু মানুষের মনে ঈশ্বর দর্শন ও ঈশ্বরের কথা
শােনার অনুভূতি সৃষ্টি করতে
সমর্থ হয়েছেন।

এঁরা প্রমাণ করেছেন, বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্য মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্নায়ুকোষে উত্তেজনা ও নিস্তেজ অবস্থার সৃষ্টি করে আধ্যাত্মিক অনুভূতি আনা সম্ভব, একইভাবে সম্ভব প্রেম, ঘৃণা, ভয় ও সাহসের অনুভূতি তৈরি করা। আবার ধারণা সঞ্চারের সাহায্যেও এমন অবস্থা তৈরি করা সম্ভব।


Illusion (ভ্রান্ত অনুভুতি)

অভিধানে illusion ও delusion এর অর্থ দেওয়া আছে, ‘মােহ’ এবং ভ্রান্তি'। কিন্তু মনােবিজ্ঞানে illusion, hallucination ও delusion প্রতিটি কথাই ভিন্ন