পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৯৫
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)
১৯৫

পীঠস্থান ও স্থান মাহাত্ম্য রহস্য ১৯৫ করায় দেগঙ্গা থানাকে খবর দিতে হয়। (৩) থানার অফিসার ইনচার্জ—অরুণকুমার হাজরা নিজেই এসেছিলেন। গােলমাল মিটে গেছে। (৪) বুড়িমা আসলে ব্যাঘ্রবাহিনী দুর্গা। স্থানীয় কিছু মুসলিম বদ মতলবে মা দুর্গাকে বনবিবি বলে চালাতে চাইছে। (৫) হ্যা, এই খেজুর তলায় বনবিবির থান ছিল, তাে কী হয়েছে? (৬) ডাকাত বাল্মীকি অবতার হয়েছিলেন। আবার ভক্ত রাবণ নারী লােভে সােনার লঙ্কা ছারখার করে দিলেন। ব্রজেন ব্রহ্ম’কে মা দুর্গা দেখা দিলেন, এরপরও লােকটা রাবণের মত-ই লােভি হয়ে উঠছে বলতে হবে—যদি ওর ক্ষোভের কথা সত্যি হয়।(৭) পারপাটনার চাষী লক্ষ্মণ দাস একদিন রাতে জমিতে জলসেচ দিতে এলে দেখেন এক অপূর্ব সুন্দরী বৃদ্ধা বিশাল এক বাঘের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। (৮) ওই গ্রামেরই আর এক চাষী জগদীশ দাস একদিন রাতে জমিতে জলসেচের জনা পাম্প চালাতে এলে দেখেন, দুর্গা প্রতিমার মত রূপের এক বৃদ্ধা তিনটে বিশাল বাঘকে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। (৯) তিন বােবার নাম ঠিকানা দিলেন যারা মাটি খেয়ে কথা বলছেন। তাঁরা হলেন (ক) বােধ দাস, দত্তপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা (খ) দীপক ভট্টাচার্য, পারপাটনা, উত্তর ২৪ পরগনা (গ) প্রদ্যুৎ দাস, এ জি কলােনি, হাবড়া। দশ বছর ধরে প্যারালিসিস ছিলেন গাইঘাটার নিখিল দে। মায়ের অপার কৃপায় স্বাভাবিকভাবে হাটতে শুরু করেছেন মাটি খাওয়ার পরের দিন থেকেই। কুমড়ার (একটা জায়গার নাম) অনিল ঘঘাষের নাতি থ্যালাসেমিয়া রােগী। মাটি খেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ। ধীরেন গােলদার। নিবাস কুমড়া, উত্তর ২৪ পরগণা। উন্মাদ পাগল। মায়ের কৃপায় এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এমনি মাটি খেয়ে রােগমুক্ত হওয়া মানুষের আরও ঠিকানা ওঁরা দিতে পারেন—যদি আমরা চাই। (১০) গঙ্গানগর। থানার ওসি অরুণ হাজরা নিজেই মন্দির কমিটির সদস্য। ভক্তদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, সে তাে আগেই বলেছি। কিন্তু তাদের কেউই পাসপাের্ট বা ভিসা নিয়ে আসেননি। এসেছেন দালাল ধরে, দু’পারের সীমান্তরক্ষিদের ঘুষ দিয়ে। সেসব কথাও ক্যামেরার সামনেই ওঁদের অনেকেই বললেন। আরও একটা জরুরি তথ্য জানালেন, দেগঙ্গা থানার যে ক'জন পুলিশ এখানে ডিউটি করেন, তারা নাকি ওদের ভাষা শুনে ঠিক ধরে ফেলেন। তারপর নাকি অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য গ্রেপ্তার করে কোর্টে ভােলার নাম করে যার কাছ থেকে যতটা পারেন লুটে নেন। | গঙ্গানগর থানার অফিসার ইনচার্জকে থানায় পেলাম। তাকে বে-আইনি অনুপ্রবেশ ও পুলিশি অত্যাচারের কথা জানালাম। এই অনুপ্রবেশকারীদের কেউ যদি পাকিস্তানের গুপ্তচর বা আলকায়দার সদসা হয়? এত বড় জনসমাবেশে বিস্ফোরণ ঘটায়? তখন আপনার পুলিশকেই আমরা এর জন্য দায়ী করব। ওসি অরুণকুমার হাজরা কাঁধ থেকে মাছি তাড়াবার মতাে করেই বিষয়টা