পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)

ভাষায় সেই ঝড়টির নাম ‘Tornado’ (টর্নেডো)। টর্নেডোর প্রকৃতি সম্বন্ধে সামান্য কয়েকটা কথা অন্তত না বললে এই ঘটনাটার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যাও অনেকের বুঝতে অসুবিধে হতে পারে।

 এপ্রিল-মে মাসে কালবৈশাখীর সময় যে কালো ঝটিকা মেঘবাহিনীকে দেখা যায়, সেগুলোতেই থাকে টর্নেডো ঝড়ের সম্ভাবনা। টর্নেডো ঝড়ের সৃষ্টিকর্তা মেঘগুলোর মাথা থাকে প্রায় ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে, মেঘের তলদেশ থাকে মাটি থেকে প্রায় ২ হাজার ফুট উঁচুতে। এই কুচকুচে কালো ঝটিকা-মেঘের ভেতর তীব্র বেগে আলোড়িত হতে থাকে এবং ঘুরতে থাকে কয়েক লক্ষ টন ওজনের জলকণা। জলকণাগুলোর অনবরত প্রচণ্ড ঘর্ষণে মেঘরাশি হয় বজ্রগর্ভ। এই ঝটিকা-মেঘের তলার দিকের অংশের কোন স্থানে কখনও আলোড়ন তীব্র হয়ে ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়। এই ঘূর্ণির মেঘ নেমে আসে মাটির অনেক কাছাকাছি। ঝটিকা-মেঘ থেকে নেমে আসা হাতির শুঁড়ের মতো দেখতে এই ঘূর্ণি মাটি বা জল ছুঁয়ে যায়, কখনও কখনও বা চলে যায় মাটি থেকে ১০, ১৫ বা ২০ ফুট উঁচু দিয়ে। তবে, যখন বয়ে যায়, তখন রেখে যায় তার চিহ্ন। অথচ আশ্চর্য এই যে,
কলাসীমায় ঝড়ের প্রকৃতি কেমন ছিল