পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২০
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)

বসা এক মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল লোকসভার নির্বাচন হবে না পিছবে। তার কোন জবাবও তিনি দিলেন না। ১৫ জনের মধ্যে জবাব পেলেন পাঁচজন। তাঁরা অবশ্য জানালেন জবাবে সন্তুষ্ট।’'

 এইভাবে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘সাধক’ লিন ডেভিড মার্টিনও তাঁর অধীত শক্তির পরীক্ষা দিলেন। ভাঁজ করা প্রশ্ন চোখ বন্ধ করে কপালে ঘষে তিনি জবাব দেন। চারজন প্রশ্নকর্তা বললেন, উত্তরটা কেমন যেন ভাসা ভাসা হলো। আর একজন মঞ্চে উঠে গিয়ে তাঁকে স্পষ্ট বলে এলেন, এই প্রশ্ন আমি করিনি। জবাবটাও আমার নয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম আমার বন্ধুর হারিয়ে-যাওয়া ছেলেটি ফিরবে কি না। লিন কড়া চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে বসে পড়েন। আর কোন প্রশ্নকর্তার জবাব তিনি দেননি। আমারটাও নয়।’'

 সেমিনারের কনভেনার এম সি ভাণ্ডারি কলকাতার মানুষ। তাঁর ভাষায়, বিজ্ঞান ও অলৌকিকতার পার্থক্য, প্রকৃত সাধক ও জোচ্চোরদের পার্থক্য দেখতেই এই আলোচনা সভার আয়োজন। আর বিশ্বশান্তির জন্য যোগীরা কী অসাধ্য সাধন করতে পারেন, সাধারণ মানুষকে তা জানানোই সম্মেলনের লক্ষ্য। সুযোগ দিলে এই যোগীরা নাকি মহাশূন্যের হাঁড়ির খবর দিয়ে দিতে পারেন। পাইলট বাবা সে কথাই সগর্বে ঘোষণা করলেন, “এই সরকার এত অর্থ ব্যয় করে রাকেশ শর্মাকে মহাকাশে পাঠাল। কী তথ্য সে জানিয়েছে? দিক আমার দায়িত্ব, হাজার গুণ বেশি খবর আমি জানিয়ে দেব।”

 তাই শুনে কলকাতার যোগী ও দিল্লিতে আশ্রম তৈরি করে সমাজসেবায় ব্যস্ত ‘মাধবী মা’ বললেন, “যত সব বুজরুকি। জানান না যা উনি জানাতে পারেন। কেউ বারণ করেছে?”

 পাইলট বাবাকে এই কথা জানাই। বিহারের সাসারামের এই যোগী তা শুনে করুণার দৃষ্টিতে তাকালেন। শুধু বললেন, ’৫৬ থেকে ’৭১ সাল পর্যন্ত ইণ্ডিয়ান এয়ারফোর্সে ন্যাট ও হাণ্টার চালিয়েছি। ’৬৫-তে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। তারপর আত্মসন্ধানে সংসারত্যাগী হই। ব্রহ্মের দেখা পাই মহাকাশে বিমান চালানোর সময়। একাধিকবার। ’৭৩ থেকে হিমালয়ে সাধনা। সিদ্ধি পেয়ে চলে এসেছি ’৮০ সালে। এখন বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করছি। সারা পৃথিবীতে ১০ কোটি শিষ্য। এই মহাশূন্য, এই ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে জানি না এমন কিছুই নেই। সরকার দায়িত্ব দিক, সব সন্দেহ দূর করে দেব।

 দুদিন ধরে বাবাদের এই কাণ্ড চলবে। তৎ বাবা চোখ বন্ধ করিয়ে কুণ্ডলিনীর স্পর্শ দেবেন। পাইলট বাবা সমাধিস্থ হয়ে থাকবেন। তাঁর আত্মা ত্যাগ করবে শরীর, বন্ধ হবে প্রাণের স্পন্দন। সেই অবকাশে তিনি বিচরণ করবেন মহাশূন্যে। কানাডার ফ্লাইং স্বামী সমাধিস্থ অবস্থায় ভেসে থাকবেন দীর্ঘ সময়।

 কলকাতা থেকে সম্মেলনে আমন্ত্রিত সাধক সন্তোষ চট্টোপাধ্যায়। “অতীন্দ্রিয়