একদিনের ঘটনা ১৯৮৫-র ২২ শে সেপ্টেম্বর রবিবারের সকাল। ডাঃ ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে জনা বারাে বিশিষ্ট যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিদের সামনে ঠিক এই ধরনের টেলিপ্যাথির খেলাই আমরা দু’জনে দেখিয়েছিলাম। সেদিনের প্রদর্শনীতে যদিও আমি সােজাসুজি বলে নিয়েছিলাম যে, আমাদের এই খেলাগুলাের মধ্যে কোনও অতীন্দ্রিয় ব্যাপার-স্যাপার নেই, অতএব অতীন্দ্রিয় বিশ্বাস নিয়ে দেখার মধ্যে যে নাটকীয়তা, উত্তেজনা ও রােমাঞ্চ আছে তা আমাদের খেলার মধ্যে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। তবু চোখ বাঁধা পিংকি ওর স্মৃতিশক্তিকে ঠিক মতাে কাজে লাগিয়ে আমার অতি সূক্ষ্ম সংকেতগুলােকে ধরে প্রতিটি প্রশ্নের নিখুঁত উত্তর দিয়ে দর্শকদের বিস্মিত করেছিল।
—সেদিন আমার প্রশ্ন আর ওর উত্তরগুলাে ছিল এই ধরনের—
—“এটা কী?”
—“ফ্যান।”
—“এটা কী?”
—“ক্যালেণ্ডার।”
—“উনি কী পােশাক পরে আছেন?”
—“প্যাণ্ট-সার্ট।”
—“এই ভদ্রলােকের প্যাণ্টের রঙ কী?”
—“নীল।”
—“এটা কী?”
—“চশমা।”
—“এই ভদ্রলােক পায়ে কী পরেছেন?”
—“চটি।”
—“এই ভদ্রলােক কী পােশাক পরে আছেন?”
—“উনি ভদ্রলােক নন, মহিলা। পরে আছেন নীল ছাপা শাড়ি।”
—“আমার হাতে এটা কী?”
—“কলম।”
—“এবার হাতে কী নিয়েছি?”
“ডট পেন।”
—“আমার হাতে কী?”
—“একটা বই।”
—“এটা?”
—“একটা ব্যাগ।”
একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, আমি একাধিকবার প্রশ্ন করে বিভিন্ন ধরনের উত্তর পেয়েছি। যেমন—“এটা কী?” এই একই প্রশ্ন করে এক একবার এক এক