পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩১১

অধ্যায়: আঠারাে

জাতিস্মর তদন্ত ১: দোলনচাপা

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ান স্টিভেনসন তার কেসেস অব দ্য রিইকারনেশন টাইপ’ বইটির প্রথম খণ্ডে একটি বাঙালি মেয়ে দোলনচাপা মিত্র অনেকখানি জায়গা দখল করে রয়েছে। স্বামী লােকেশ্বরানন্দের ‘লাইফ আফটার ডেথ' বইটিতেও রয়েছে দোলনচাপার উল্লেখ। ইতিপূর্বে দোলানাপার জাতিস্মর ক্ষমতার কথা প্রকাশিত হয়েছে ভারতের জনপ্রিয় একটি দৈনিক পত্রিকাসহ আরও বেশ কিছু পত্র-পত্রিকায়। ভারতবিখ্যাত পরামনােবিজ্ঞানী হেমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দোলনচাপার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন। দোলানাপার জাতিস্মর হয়ে ওঠা নিয়ে আমিও দীর্ঘ অনুসন্ধান চালাই।

দোলনের জন্ম ১৯৬৭ সালের ৭ আগস্ট। বাবা মানিক মিত্র নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন-এর গ্রামসেবক ট্রেনিং সেন্টারের লেকচারার। ১৯৭১-এর গ্রীষ্মের এক দুপুরে মা কণিকাদেবী দোলনর মুখ থেকে প্রথম জানতে পারেন, দোলন নাকি আগের জন্মে বর্ধমান শহরের এক ধনী পরিবারে বুল্টি নামের একটি ছেলে ছিল। মা ছিলেন সুন্দরী। নিজেদের মন্দির ছিল। বিরাট করে পুজো হতাে। বাড়িতে ময়ুর ছিল, হরিণ ছিল। কলেজে পড়তে একবার অসুখ করে। মাথার পেছনে ব্যথা হতাে। কলকাতার হাসপাতালে বহুদিন ছিল। ডাক্তাররা রােগ ধরতে পারেননি। ওই রােগই বুল্টি মারা যায়।

১৯৭১-এ স্বামী লােকেশ্বরানন্দজীর নির্দেশে মানিকবাবু ও কণিকাদেবী দোলনকে নিয়ে বর্ধমানে যান। শহর ঘুরেও দোলন বুল্টির বাড়ি খুঁজে বের করতে পারেনি। ফিরে আসার পর দোলন নিজের মাথার পেছনে ব্যথা অনুভব করতে থাকে। ১৯৭২-এর ৩০ মার্চ দোলনের দ্বিতীয়বার বর্ধমান যাত্রা। এবার দোলনকে একটি অন্নপূর্ণা মন্দিরের কাছে নিয়ে যেতে সে চিৎকার করে ওঠে, মা, মা, এই সেই মন্দির। কাছের বিশাল বাড়িটিকে দেখিয়ে জানায়, এটাই বুল্টিদের বাড়ি। দোলন ও তার মা-বাবার দাবি, দোলন বুল্টিদের বাড়ির দেওয়ালে ঝােলানাে গ্রুপ ছবি থেকে বুল্টির বাবাকে চিনিয়ে দিয়েছিল। বুল্টির মা, ছােটভাই শিশির ও ছােট বােন রীতাকে চিনিয়ে দিয়েছিল। বুল্টি নামে সত্যি ওই পরিবারের একটি ছেলে