পাতা:অল্প কথায় জাতিসংঘ সনদ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

১৯৯২ সালে শান্তির লক্ষ্যে কার্যসূচি' শীর্ষক এক প্রতিবেদনে মহাসচিব। সংস্থাটির দক্ষতা বিস্তৃত ও শক্তিশালী করার জন্য কিছু প্রস্তাবের রূপরেখা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে জাতিসংঘের এ পরিবর্তনশীল ভূমিকার আর্থিক ও বাস্তব তাৎপর্যের সমন্বয় সাধন করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। উদহারণস্বরূপ, তিনি নতুন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রারম্ভিক ব্যয় বহন উপযােগী একটি সংরক্ষিত তহবিল গঠনের আহ্বান জানান। ১৫০ মিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে সাধারণ পরিষদ ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে এ তহবিল গঠন করে; কিন্তু এখনাে তা ঐ পর্যায়ে পৌছায়নি। মােতায়েনকৃত সেনাদলের ব্যয়ভার গ্রহণ অথবা সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তার দ্বারাও সরকারগুলােকে অবদান রাখতে উৎসাহিত করা হয়। সামরিক ও বেসামরিক শান্তিরক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়। সরঞ্জাম সম্পর্কিত পরিকল্পনায় ও সামরিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণে আরাে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়ােজনের কথাও বলা হয়। | শান্তির লক্ষ্যে কার্যসূচিতে মহাসচিব একটি ক্ষুদ্র, বহুজাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত বাহিনীকে নিরাপত্তা পরিষদের কর্তৃত্বাধীনে সক্রিয় করা যাবে এবং সঙ্কটকালে দ্রুত মােতায়েন করা সম্ভব হবে। অবশ্য দ্রুত-প্রতিক্রিয়া বাহিনী সম্পর্কিত মহাসচিবের ধারণাটি নিরাপত্তা পরিষদ এখনাে অনুমােদন করেনি। ‘শান্তির লক্ষ্যে কার্যসূচি অনুযায়ী শান্তিরক্ষার জন্য সংরক্ষণ বাহিনী গড়ে তােলার অন্য একটি প্রস্তাব এখন অনুসরণ করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থা জাতিসংঘকে নতুন এবং চালু শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রয়ােজনীয় সম্ভার দ্রুত মােতায়েন করার ক্ষমতা প্রদান করে এবং একই সঙ্গে সদস্যরাষ্ট্রসমূহকে ক্ষেত্রভিত্তিক অংশগ্রহণে সম্মত হওয়ার সুযােগ দেয় । _ ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে শান্তির লক্ষ্যে কার্যসূচির একটি সম্পূরক প্রকাশিত হয়। মহাসচিব এতে উল্লেখ করেন যে, বর্তমান সংঘাতসমূহের বেশির ভাগ রাষ্ট্রসমূহের অভ্যন্তরে ঘটছে, সেনাবাহিনী ও অনিয়মিত সেনারা এসব যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। প্রধানত বেসামরিক জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে । এ নতুন জাতের সংঘাতগুলাে প্রায়ই জরুরি মানবিক ত্রাণকাজে জড়িয়ে পড়ে, যা সমাধান করা যোগ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার বাইরে হতে পারে। | যেসব ক্ষেত্রে সদস্যরাষ্ট্রসমূহকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সম্পূরকটি সেগুলাে তুলে ধরেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে: অর্থায়ন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত নির্দেশের সুস্পষ্টতা এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলাের সহায়তায় পরিচালিত কার্যক্রম।