পাতা:অল্প কথায় জাতিসংঘ সনদ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অস্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলাের ব্যাপারে সনদের প্রত্যাশা কি? N % যেসব এলাকার জনগণ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন অর্জন করতে ১ ১৪২ পারেনি, তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় একাদশ, দ্বাদশ ও N ত্রয়ােদশ অধ্যায় ব্যক্ত হয়েছে। একাদশ অধ্যায়ে রয়েছে। স্বায়ত্তশাসন-বঞ্চিত অঞ্চলগুলাে সম্পর্কে একটি সমন্বিত ঘােষণা, যা ঐ সমস্ত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণের স্বায়ত্তশাসন ও তাদের রাজনৈতিক, শিক্ষাগত ও সামাজিক অগ্রগতির ওপর গুরুত্ব আরােপ করে। সদস্যরাষ্ট্রগুলাে স্বীকার করে যে, ঐসব অঞ্চলের অধিবাসীদের স্বার্থই সর্বোচ্চ, তাদের যথাসম্ভব কল্যাণ সাধনের দায়িত্ব একটি পবিত্র আমানত বলে গ্রহণ করে । সনদের ৭৩ ধারার অধীন অস্বায়ত্তশাসিত এলাকাগুলাের শাসনকারী দেশগুলাে এ উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদের স্ব স্ব দায়িত্বাধীন এলাকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা পরিস্থিতি সম্পর্কে মহাসচিবের কাছে খবরাখবর পাঠাতে সম্মত হয়। | ত্রয়ােদশ অধ্যায়ের অধীনে অছি ব্যবস্থার ওপর নজর রাখার জন্য অছি পরিষদ সৃষ্টি করা হয়। অছি ব্যবস্থার দ্বারাই জাতিসংঘ অছি এলাকাগুলাের প্রশাসন তত্ত্বাবধান করে । | জাতিসংঘ ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষগুলাের মধ্যে একক চুক্তির মাধ্যমে অস্বায়ত্তশাসিত অছি এলাকাগুলাে স্বেচ্ছায় এ ব্যবস্থার অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৯৪ সালের অক্টোবরে প্রায় অর্ধশত বছর পর সর্বশেষ অছি এলাকা— যুক্তরাষ্ট্রশাসিত পালাউ দ্বীপ-স্বায়ত্তশাসন অর্জন করায় আছি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে।