পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 অশনি-সংকেত --কি কথা ? -আমাদের এখেনে যদি পাঠশালা খোলেন। তবে কেমন হয় ? --দ’জায়গায় হয় না। ও গ্রামে বাস করি, এ গ্রামে পাঠশালা-তাও হয় না। -কত দিতে হবে। আমাদের, একটা ঠিক করে দ্যান -আমার বাপ জোরজবরদস্তি নেই, বিদ্যাদানং মহাপণ্যং, বিদ্যাদান করলে কোটি আশবমোধৈর ফল লাভ হয়। তবে আমারও তো চলা-চলতির ব্যবস্থা একটা চাই, এই বঝে তোমরা যা দাও । নিজেরাই ঠিক করো । আমার মাখে বলাটা ভালো হবে না। গঙ্গাচরণ অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এভাবে অগ্রসর হলে ফল ভাল হয়। সে জানে। কাজেই বাড়ীতে ফিরে অনঙ্গ যখন বললে-তা। ওদের ওপর ফেলে দিলে কেন ? তোমার নিজের বলা উচিত ছিল-তখন গঙ্গাচরণ হেসে বললে-আরে না জেনে কি আর আমি তাড় ঘটতে গিয়েচি। আমি নিজের মাখে হয় তো বলতাম চাের আনা-ওরা দেবে আট আনা-দেখে निG एभि । পরদিন সকালে খোদ বিশ্ববাস মশাইকে নিজের বাড়ীতে আসতে দেখে গঙ্গাচরণ বিসিত হোল। ছেলেকে ডেকে বললে-পটলা, ডেকাসোটা নিয়ে আয় চট করে ডেকাসো মানে একটা কেরোসিন কাঠের পরোনো প্যাক বাক্স । এর নাম ‘ড়েকসো' লেন হয়েচে তার ঐতিহাসিকতা নির্ণয় করা দশকর। বিক্ষবাস মশায় বললেন-থাক থােক-আমার জন্যে কেন-সে কি হয় ?” বসন বসন-তারপর কি মনে করে সকালবেলা ? -একটা কথা ছিল। আমার বাড়ীতে কাল আপনি সমস্কৃতো বলেচেন, বাড়ীর মেয়েরা সব শনেচে । আমার একটা গাইগরর আজি মাসাবধি হোল দড়ি গলায় আটকে অপমত্যু ঘটেচে। সবারই মন। সেজন্যে খারাপ। আমার নাতির অসখি সেই থেকে সারাচে না-জবর আর সন্দি লেগেই আছে-বাঝলেন ? গঙ্গাচরণ গম্ভীর ও চিন্তাকুল ভাবে ঘােড় নাড়তে লাগলো । ভাবটা এই রকম যে, “ও তো না হয়েই যায় না"- বিশ্ববাস মশায় বললেন- এখন কি করা যায় ? কাল রান্তরে আমার পরিবার বললেওনার কাছে যাও, উনি পন্ডিত লোক, একটা হিল্লেী হবে । গঙ্গাচরণ পাব বৎ চিন্তাকুল। সংক্ষেপে শািন্ধ বললে-হাঁ- ও’র হাবভাব দেখে বিশ্ববাস মশায় ভয় পেয়ে গেলেন। খািব গারতের কিছু ঘটবার সত্রপাত Iাকি তার সংসারে ? শাস্ত্র জানা ব্রাহ্মণ, কি বঝেচে কি জানি ? আর কিছু বলতে তাঁর Iাহস যোগাল না । গঙ্গাচরণ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললে--কিছর খরচ করতে হবে। বিপদে ফেলেচে। বিশ্ববাস মশায় উদ্বেগের সরে বললেন-কি রকম ? কি রকম ? --গোবধ মহাপাপ। এত বড় মহাপাপ যেবিশ্ববাস মশায় বাধা দিয়ে বললেন-কিন্তু এ তো আমরা ইচ্ছে করে করি নি ? মাঠে ধা ছিল, দড়ি গলায় কি করে আটকে -ওই একই কথা । গোবধ ওকেই বলে-মহাপাপ ।