পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত ܠ -আউশ চালের মণ চল্লিশ টাকা ? --তাই মিলচে না দাদাঠাকুর । আপনি তো সব জানো। গঙ্গাচরণ ইতস্ততঃ করতে লাগলো। দ’গাছা পাতলা রািল আছে। অনঙ্গ-বোয়ের হাতে । একবার গেলে আর হবে না । কিন্তু উপায় কি ? ছেলেপলেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে তো ? বাড়ীতে এসে স্ত্রীর কাছে বলতেই তখনি সে খালে দিলে। এক মণ চােলই এসে ঘরে উঠলো। রামলাল কােপালী বলে দিলে-চুপি চুপি নিয়ে যাবেন দাদাঠাকুর । সন্ধ্যার অনেক পরে চাল নিয়ে আসতে গিয়ে গংগাচরণ ও তার দই ছেলে পড়ে গেল নিমাই জেলের সামনে। সে নদীতে যাচ্চে আলোয় মাছ ধরতে । ওদের দেখে বললে-কে ? গঙ্গাচরণ বললে-এই আমরা । -কে পণ্ডিত মশাই ? পোন্নাম হই । কি ওতে ? -ও আছে । -ধান বঝি-পণ্ডিত মশাই ? - | নিমাই জেলের বিধবা মেয়ে পরদিন ভোর না হতে এসে হাজির ৷ না খেয়ে মারা যাচ্ছে ওরা, দটো ধান দিতে হবে । অনঙ্গ-বেী মিথ্যে কথা বলতে তেমন পারে না, না ভেবেই বলে বসলো-ধান তো নেই ঘরে, চাল এনেছিলেন কিনে উনি । --তাই দটাে দ্যান বামন-দিদি, না খেয়ে মরাচি । দিতে হোল । ঘরে থাকলে না দিয়ে পারা যায় না । সালে দলে দলে এ-পাড়া ও-পাড়া থেকে লোক আসতে লাগলো। কেউ ভাত দাও, কেউ চাল দাও দটি ; এক মণ চাল দশ দিনে উঠে গেল, মাঝে পড়ে অনঙ্গ-বৌয়ের শেষ সম্প্রবল রচলি দ’গাছা অনন্তের পথে যাত্রা করলো । ইতিমধ্যে একদিন ভাতছালা থেকে মতি মাচিনী এসে হাজির । অনঙ্গ-বেী বললে--"কি রে মতি ? আয় আয়মতি গলায় অচিল দিয়ে দীর থেকে প্রণাম করে বললে-গড় করি দিদি-ঠাকরণ। --কি রকম আছিস ? এ রকম বিচ্ছিরি রোগা কেন ? --ভালো না দিদি-ঠাকরণ। না খেয়ে খেয়ে এমনি দশা । --তোদের ওখানেও মন্বন্তর ? --বলেন কি দিদি-ঠাকরণ, অত বড় মাঁচপাড়ার মধ্যে লোক নেই। সব পালিয়েছে। --"কোথায় ? YSB DBD DS BBBD DBDS DSDBSDBDDBD DBBDB DBB SKLLS DB DDD ধরতাম। আর গৌড়ি-গগেলি ! তাও এদানি মেলে না। ভাতছালার সেই বিলির জল ঘোলদই। শােধ দ্যাখো মচিপাড়া, বাগদিপাড়ার মেয়ে-ছেলে বৌ-ঝি সব সেই একগলা জলে নেমে চুনো মাছ আর গৌড়ি-গঙ্গালি ধরচে। সব ফুরিয়ে শেষ হয়ে গেল। আর আধ পোয়া মাছও হয় না। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ডাঙায় বসে কাঁদছে, ওদের মা কাঁচা গেড়ি-গগলি তুলে ওদের মখে দিয়ে কান্না থামিয়ে এসে আবার জলে নেমেচে । কত মরে গেল ওই সব খেয়ে। নেতু বনোর ছোট মেয়েটা তো ধড়ফড় করে মরে গেল পেটের অসখে।