পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত శ్రీ সন্ধ্যার দিকে শািন্ধ হাতে গঙ্গাচরণ বাড়ী ফিরলো, কেবল সাং কােপালী গোটাকতক বগােন নিয়েচে । সাধ, গরীব লোক নয়, তার-তরকারি বেচে সে হাটে হাটে তিন-চার টাকা উপাজন করে, কিন্তু টাকা দিয়েও চাল মিলচে কোথায় ? দাগা, অনঙ্গ-বেী ও ছেলেদের কারো খাওয়া হয় নি। ওদের মািখ দেখে বর্ব্বতে পারলে গঙ্গাচরণ। ও নিজে তবও যা হােক দুটাে কলাই সেন্ধও খেয়েছে। অনঙ্গ-বেী স্বামীকে খালি হাতে ফিরতে দেখে চালের কথা কিছু জিজ্ঞেস করলে না। গঙ্গাচরণ হাত-পা ধয়ে বসলে চা করে ও নিয়ে এল। দােগা নিজেও আজ চালের চেষ্টায় বেরিয়েছিল। কোথাও সন্ধান মেলে নি । অনঙ্গ-বেী ওকে বললে-খাবে এখন ? গঙ্গাচরণ কৌতুহলের সঙ্গে খাবার জায়গায় গিয়ে দেখলে থালার একপাশে শােধ, তরকারী, ভাত নেই-খানিকটা বেশি রে মিলিট কুমড়ো সেদ্ধ, একটু আখের গড় । সত্রী যেন অন্নপণা, এও তো কোথা থেকে জটাতে হয়েচে ওকেই ! গঙ্গাচরণ কিছ, ঠিক করতে পারে না ভেবে ভেবে। রোজ রোজ এই খেয়ে মানষি ক বাঁচে । সত্রীকে বললে-আর এক খাবার দেখে এলাম। বামনডাঙা-শোরপারে। সেখানে সবাই লাইসেন্ধ খাচ্চে - খাবে এক দিন ? অনঙ্গ-বৌয়ের দিকে চেয়ে ওর মনে হোল এই কদিনে ও রোগা হয়ে পড়েচে । বোধ য়৷ পেট পরে খেতে পায় না নিজে, আর ওই বড়োটা এসে এই সময় সঙ্কন্ধে চেপে আছে। ড়োকে খাওয়াতে গিয়ে ওর নিজের পেটে কিছ, যাচ্চে না হয় তো । না, এমন বিপদেও ড়িা গিয়েচে ! অনঙ্গ-বোঁ কি বলতে যাচ্ছিল এমন সময় বাইরে থেকে কে বলে উঠলো-ও বামন前一 অনঙ্গ-বেী বাইরে এসে দেখলে ভাতছালার মতি-মচিনী উঠোনে দাঁড়িয়ে । শরীর ীিণশীণ, পরনে উলি-দলি ছোড়া কাপড়, মাথায় রক্ষ চুল বাতাসে উড়চে । ওকে দেখে মতি হাসতে গেল। কিন্তু শীর্ণ মাখের সব দাঁতগালো বেরিয়ে হাসির মাধয গল নষ্ট হয়ে । সব প্রথমে অনঙ্গ-বেী প্রশ্ন করলে-কে মতি ! খাস নি কিছ ? আয়-বোস । তারপর দামিনিটের মধ্যে দেখা গেল টেমি জেৰুলে উঠোনে একখানা কলার পাত পতে মতিকে বসিয়ে দিয়ে অনঙ্গ-বেী ওকে খেতে দিয়েচে, সেই মিঠে কুমড়ো সেদ্ধ। আর উশাক চচ্চড়ি। মতি বললে-দটাে ভাত নেই বামন-দিদি ? অনঙ্গ-বেী দঃখিত হোল। মতি মাচিনীর মদখে নিরাশার চিহ্ন। ভাত দিতে পারলে না। ওর পাতে অনঙ্গ-বোঁ । মদীনা চাল নেই ঘরে কদিন । এই সব খেয়ে চলচে সবারই । তাও যে মেলে না। উশাক আর কুমড়ো কত কন্টে যোগাড় করা। অনঙ্গ-বেী আদর করে বললে-আর কি নিবি মতি ? মতি হেসে বললে-মাছ দ্যাও, মাগির ডাল দ্যাও, বড়ি-চচ্চড়ি দাও--দেবো, তুই খা খা-হারে ভাত পাস নি। কদিন রে ? মতি চোেখ নীচু করে কলার পাতার দিকে চেয়ে বললে-পনেরো-ষোল দিন আজ সন্ধি সৌধ আর পাইশাক সেদ্ধ খেয়ে আছি। আর পারি নে বামন-দিদি। তাই জোটাতে