পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশনি-সংকেত ܠܪ পাবে সােয অস্ত গিয়েচে, ঘন ছায়া নেমে এসেচে। বাঁওড়ের তীরে তীরে, বাঁওড়ের জলের কচুরিপানার দামের ওপর । আবার কি উৎপাত না জানি হয়, সম্বোধ্যবেলা । মাত্র তিনটি মেয়েছেলে তেপান্তর মাঠের মধ্যে । অনঙ্গ-বেী বললে,-“বাবঃ- এখন বেরোও এখান থেকে । মতি বললে-বা রে, মেটে আলােটা ? --কি হবে তাই ? --অত বড় মেটে আলােটা ফেলে যাবা ? কাল থাকবে ? এই মনৰন্তরের সময় ? কথাটা সকলেরই প্রাণে লাগলো ! থাকবে না মেটে আল। আজকাল গ্রামের লোক সব যেন কেমন হয়ে উঠেছে । সম্প্রধান পাবেই । কােপালী-বোঁ বললে-তাই করো বামন-দিদি । আলােটা নেওয়া ফ্যাক-নোেক সব হন্যে হয়ে উঠেচে না খেতি পেয়ে । বনো কচু অল, কিছ, বাদ দিচ্চে না, সম্বদা খাঁজে বেড়াচ্চে বনে জািগলে । ওই আলােটা তুললে আমাদের তিন বেলা খাওয়া হবে । আবার সবাই মিলে আলীর পিছনে লাগলো এবং যখন সকলে মিলে গত হতে মেটে আলােটা বের করে উপরে তুলে ধলো ঝােড়ছে।--তখন সন্ধ্যার পাতলা অন্ধকার মাঠ-বন ঘিরে BDBD SS DBD DuuB BDB BDDB DDD DD DDBu DDB BDBBS DBBB BBDBBDS পেছনে শাবল হাতে কােপালী-বোঁ । ওরা সেই সম্পধ্যার অন্ধকারে চারিদিকে সশস্ত্রক দটিতে চাইতে চাইতে গ্রামের মধ্যে এসে ঢুকলো । গ্রামে ঢুকবার আগে অনঙ্গ-বী বললে-এই ছড়ি, আজকের কথা ওই সব যেন কাউকে ळ्नश् छ्न् কােপালী-বোঁ ঘাড় নেড়ে বললে-নাঃ- --বন্ড পেট-আলগা তুই, পেটে কোনো কথা থাকে না-কেন, কবে আমি কাকে কি বালিচ ? -সে হিসেব এখন বসে বসে দেবার সময় নেই।--মোটের ওপর একথা কারো কাছে-কোন কথা ? মেটে আলর কথা ? -আবার ন্যাকামি হচ্চে ? দ্যাখ ছিটিকি, তুই কিন্তু দেখিবি মজা আমার হাতে আজ। তুমি বকিতে পারচো না কোন কথা ? নেকু ! কােপালী-বোঁ আবার হি-হি করে হোসে ফেললে--কি কারণে কে জানে । অনঙ্গ-বেী বললে-এ পাগলকে নিয়ে আমি এখন কি করি ? তুই বলবি ঠিক-না ? কপালী-বো হাসি থামিয়ে আখবাস দেওয়ার সারে বললে-পাগল বানন-দিদি ঐ তোমার নিয়ে যখন কথা, তখন জেনো, কাগ-পক্ষিতেও একথা ষ্টের পাবে না। মাথার ওপর চন্দ্র-সব্যি। নেই ? বাড়ী এসে আলর ভাগ নিয়ে চলে গেল ষে যার ঘরে । গঙ্গাচরণ বেরিয়েছিল চাল যোগাড়ের চেষ্টায়। কিন্তু ন হাঁটার হাটে ঘোর দাঙ্গা আর লটপট হয়ে গিয়েচে-চালের দোকানে । পলিস এসে অনেক লোককে ধরে নিয়ে গিয়েছে। গঙ্গাচরণ বণনা করে সত্রীর কাছে বসে সম্পধ্যার পরে । অনঙ্গ-বেী বললে-এখন উপায় ? -উপবাস ।