পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So অশনি-সংকেত -ওমা সে কি সন্দোবনাশ ! হ্যাঁগো কি হবে ওর ? ছটিকির ? -ওকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেবে শখ মিটে গেলে । তখন নাম লেখাতে হবে শহরে গিয়ে, নয়ত ভিক্ষে করতে হবে । চতুর্থ দিন অনেক রাতে কে এসে ডাকলে ঘরের বাইরে থেকে-ও বামন-দিদি ময়না জেগে উঠে বললে-কে ডাকচে বাইরে, ও দিদি বলে সে উঠে দোর খালে দিতে ছোট-বোঁ ঘরে ঢুকল। পরনে নতুন কোরা লালপোড়ে শাড়ী, গায়ে সাদা ব্লাউজ, হাতে নতুন কাঁচের চুড়ি । অনঙ্গ-বেী বিস্ময়ের ও আনন্দের সরে বললে-কি রে ছোট-বোঁ ? ছোট-বেী মেঝের ওপর বসে পড়ল। একটুখানি চুপ করে থেকে ফিক করে হেলে ফেলল। ময়নার মাও ততক্ষণ উঠেচে । ছোট-বোয়ের কান্ড সব শনেছে। এ ক'দিনে । ময়নার মা ছিল কামদেবপাের গাঁয়ের মধ্যে সকলের চেয়ে নিরীহ মেয়েমানষ। কখনো কারো কথায় থাকে না, গরীব ঘরের বেী-দঃখ-ধান্দার মধ্যে চিরকাল ছোট ছোট ছেলেমেয়োগ লোকে মানষি করে এসেচে। সে শােধ চুপ করে ওর দিকে চেয়ে রইল। এমন অবস্থায় আবার লোকের মাখে হাসি বেরোয় ? ময়নার মা এই কথাই ভাবছিল । অনঙ্গ-বেী রাগের সরে বললে-হাসি কিসের ? ছোট-বোঁ মািখ চুন করে বললে--এমনি । -ও পাটলি কিসের ? -ওতে চাল । তোমার জন্য এনিচি । -ঝাঁটা মারি তোর চালের মাথায় । নিয়ে যা এখান থেকে । আমি কি করবো তোর চাল । --রাগ কোরো না বামন-দিদি, পায়ে পড়ি। তুমি রাগ কল্লি আমি কনে যাব ? এবার ছোট-বোয়ের চোখ দটো যেন জলে ভরে এল । সত্যিকার চোখের জল । অনঙ্গ-বেয়ের মনটা নরম হােল। খানিকটা পেনহের সরে বললে-বদমাইশ কোথাকার + ধাড়ি মেয়ে, তোমার কান্ডজ্ঞান নেই, কি কাজ করতে কি কাজ করে বসো তোমার জ্ঞান হয়। না ? আজি বাদে কাল কোথায় গিয়ে জবাবদিহি করতে হবে সে খেয়াল হয় না তোমার ? সতের ঝাঁট মারি তোমার মাথায় তবে যদি এ রাগ যায় । অজ্ঞান পাপীকে ভগবানও বোধ হয় এমনি সমেনহে অন্যযোগের সরে তিরস্কার করেন। ছোট-বোঁ মাখ চুন করে মাটির দিকে চেয়ে বসে রইল । এরই মধ্যে একদিন মতি মাচিনী অতি অসহায় অবস্থায় এসে পৌছলো। ওদের গাঁয়ে। সকালে হাব এসে বললে-মতি-দিদিকে দেখে এলাম মা, কপালীদের বাড়ী বসে আছে ৷ ওর চেহারা বড় খারাপ হয়েছে। অনঙ্গ-বেী বললে-কি রকম দেখে এলি ? -s TV5 一瓯丽枣死顶? —তা কি জানি । দেখে আসবো ?