পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अकेत्रिश्लश। [ ኴሻ ማ። سو8 ঔষধ না দিয়া যথাযথ যে ব্যাধির যে ঔষধ, ব্যাদি বিপরীত সেই ঔষধ প্রদান করিবে। যথাঅতিসারে স্তম্ভন-মসুর যুষ, প্রমেহে-হরিদ্র প্রভৃতি। ইহাদ্বারা বুঝা গেল যে, অল্পবল ব্যাধি নিদান বিপরীত চিকিৎসা দ্বারা এবং মধ্যবল ব্যাধি নিদান ও ব্যাধির বিপরীত ঔষধ দ্বারা প্রশান্ত হয়। কেবল যে হেতু ব্যাধি বিপরীত,ঔষধই চিকিৎসায় প্রযোজ্য তাঁহা নহে, তন্দ্বারা ব্যাধির শাস্তি না হইলে “মহাবল ব্যাধিতে হেতুবাধিবিপরীতার্থকারী ঔষধও প্রয়োগ করিতে হয়। যেমন মদাতায়ে মন্তগান, অতিসারে বিরোচন ইত্যাদি। (বিপরীতার্থকারী শব্দের অর্থ এই যে, যাহা হেতুর বা ব্যাধির বা উভয়ের সমানধর্ম্মী হইয়াও কোন বিশেষ শক্তি বশতঃ বিপরীত কার্য্য করে, তাহাকে হেতু ব্যাধি-বিপরীত বলা যায়। এই ত্রিবিধ চিকিৎসা দ্বারা আম দোষের পাক ও অগ্নি বৰ্দ্ধিত হইলে ঘুক্তিপূর্বক অভ্যঙ্গ স্নেহপান ও বস্ত্যাদি উপযুক্ত মাত্রায় ( যাহাতে অগ্নিমান্দ্যাদি উপদ্রব উপস্থিত না হয় )প্রয়োগ করিবে ॥ ২১৷২২ • কফহেতু আমাখ্য অজীর্ণ রোগ উৎপন্ন হয়। এই আমাজীর্ণে অক্ষিকূট ও গণ্ডদেশে শোখ, প্রসেক (মুখ দিয়া জল উঠা ), বমনভাব ও শরীরের গুরুত্ব হয় এবং সদ্যোভুক্তের ন্যায় উদগার छेtर्ट । বায়ুর আধিক্যে বিষ্টন্ধীজীর্ণ রোগ জন্মে। ইহাতে ऐंठन শূল, মল विवकिड, डांभूॉन ও শরীরের অবসন্নত হইয়া থাকে । পিত্তাধিক্যে বিদগ্ধ নামক অজীর্ণ রোগ উৎপন্ন হয়। বিদগ্ধজীর্ণে পিপাসা, মোহ, গাত্রঘুর্ণন, অম্নোদাগার ও দাহ হয় ৷৷ ২৩|২৪ ' ' এই ত্রিবিধ অজীর্ণের মধ্যে আয়ুজীর্ণে লঙ্ঘন, বিষ্টন্ধীজীর্ণে অত্যন্ত স্বেদ এবং বিদগ্ধীজীর্ণে বমন প্রয়োগ কর্ত্তব্য। অথবা অবস্থা বিশেষে দোষানুসারে যাহা হিতকর বুঝিবে তাঁহাই প্রয়োগ করিবে। যেমন আমাজীর্ণে লঙ্ঘন ও. স্বেদ এবং বিদগ্ধেও লঙ্ঘন ও স্বেদ ইত্যাদিক্রমে চিকিৎসা কর্ত্তব্য ৷৷ ২৫ ও a স্রোতঃসমূহে লীন প্রভুত আমদোষ হইতে বিলম্বিকা রোগ জন্মে। ইহাতে কফের ও বায়ুর অনুবন্ধ থাকে এবং পূৰ্বে আমাজীর্ণের যে সকল লক্ষণ বলা গিয়াছে, সেই সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়। ইহার চিকিৎসাও আমাৰ্জীর্ণের ন্যায় জানিবে। (বিশেষত্ব এই যে, কফাধিক্যে আমাজীর্ণ রোগ হয়, তাহাতে কাফক্স লভযানাদি ঔষধ প্রয়োগ করিতে হয়, কিন্তু বিলম্বিক বাতােশ্লষ্মাজ রোগ, ইহাতে উভয় দোষের প্রতিষেধক ঔষধ বিবেচনাপূর্বক প্রয়োগ কর্ত্তব্য৷ ) ২৬ ভূক্ত দ্রব্যের সারভাগকে রস কহে, এই রস পরিপাক প্রাপ্ত হইয়া রক্তরূপে পরিণত হয়। যদি অগ্নির দৌর্ব্বল্য হেতু এই রস, সম্পূর্ণরূপে জীর্ণ না হইয়া অবশিষ্ট থাকিয়া যায়, তাহা হইলে একপ্রকার অজীর্ণ রোগ উৎপন্ন হয়, ইহাকে- রসশেষাজীর্ণ কহে। ইহাতে উদগােরশুদ্ধি (পুতি বা অন্ন উদগার রাহিত্য), অন্নে অশ্রদ্ধা ও হৃদয়ে ব্যথা হইয়া থাকে। রসশেবাজীর্ণে রোগী দিবসে অল্পক্ষণ নিদ্রা যাইবে। অপর সমস্ত অজীর্ণ রোগীকে অদ্ভুক্তাবস্থায় শরীর লঘু না হওয়া পর্য্যন্ত দিবসে যথেচ্ছ নিদ্রা যাইতে দিবে। নিদ্রান্তে যখন রোগীর ক্ষুধা হইবে, তখন তাহাকে অল্প পরিমাণে লঘুপথ্য ভোজন করাইবে | Sፃ অজীর্ণ রোগের সাধারণ লক্ষণ-মলমূত্রাদির বিবদ্ধতা বা অতি প্রবৃত্তি, শরীরের গ্লানি, বায়ুর প্রতিলোমত, বিষ্টন্ড (কুক্ষি দেশে আত্মান ), গুরুগাত্রতা ও মোহ এইগুলি অজীর্ণ । সাধারণ লক্ষণ ॥ ২৮