পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ অঃ ], সুত্রস্থান। V90 কহে। এই পাচক পিত্ত অন্নকে পরিপাক করে, সার ও মল পদার্থক পৃথক বিভাগ করে এবং স্বস্থানে থাকিয়া (আমাশয় ও পকাশয়ের মধ্যে থাকিরা) অবশিষ্ট রঞ্জকাদি ( ধাতুস্থ )। পিত্ত দিগের বল বৰ্দ্ধিত করিয়া উপকার করিয়া থাকে৷ ১০-১২ যে পিত্ত আমাশয়স্থিত, তাহ রসকে রঞ্জিতু (রক্তবর্ণ) করে বলিষ্মা রঞ্জক পিত্ত নামে

  • "অভিহিত হয়। ()

যে পিত্ত হৃদয়স্থিত, তাহাকে সাধক-পিত্ত কহে । বুদ্ধি মেধা ও অভিমানাদি দ্বারা অভিলষিত বিষয়ের সাধন করে বলিয়া ইহা সাধক নামে খ্যাত। চক্ষুঃস্থ পিত্ত কৃষ্ণ গৌর প্রভৃতি রূপ আলোকন করে বলিরা আলোচক নামে এবং ত্বগগত পিত্ত ত্বকের ভ্রাজিন ( দীপন ) হেতু ভ্রাজক নামে অভিহিত হইয়া থাকে। (ভ্রাজক “পিত্ত অভ্যঙ্গ লেপ ও পরিষেকাদি পাক করে " ॥ ১৩১৪ O a শ্লেষ্মাও পাঁচ প্রকার। তন্মধ্যে যাহা উরঃস্থ, তাহা স্বকীয় শক্তি দ্বারা ত্রিক ভাগের (পৃষ্ঠাধারের, মেরুদণ্ডের নিম্ন স্থানের), অন্নবীর্য (রিস) দ্বারা ও নিজাবীর্য দ্বারা হৃদয়ের এবং স্বস্থানস্থ (বক্ষঃস্থিত) হইয়া অঙ্গুকর্ম্ম দ্বারা ( ক্লেদ-শ্লেষ্মাদিদ্বারা ) সন্ধিস্থানাদি অন্যান্য শ্লেীষ্ম-স্থানের অবলম্বন অর্থাৎ নিজ নিজ কর্ম্মে তাহদের সমর্থ উৎপাদন করে বলিয়া অবলম্বক নামে অভিহিত হয়। যে শ্লেষ্মা আমাশয়ে অবস্থিত, তাহা কঠিন অন্ন সমূহকে ক্লিন্ন করে বলিয়া ক্লোদক নামে খ্যাত। জিহবাস্থিত শ্লেষ্টযুদ্ধারা মধুরাদি রসের বোধ হয় বলিয়া তাহাকু বোধকু কহে। শিরঃস্থ শ্লেষ্মা চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয় সকলের তৃপ্তিকর বলিয়া তৰ্পক নামে অভিহিত। আর সন্ধিস্থিত শ্লেষ্মা সন্ধি সকলকে সংশ্লিষ্ট করিয়াঙ্গরাখে বলিয়া শ্লেষ্মক সংজ্ঞায় সংজ্ঞিত হইয়া থাকে ৷ ১৫-১৭ অবিকৃত বাতাদি দোন্ত সমূহ সর্ব্বশরীরব্যাপী হইলেও প্রায়ই তাতাদের পুৰ্বোক্ত পৃথক পৃথক স্থান ও কর্ম্ম সকলী জানিবে ॥ ১৮ O দোষের বিকৃতি বলিতে দোষের বৃদ্ধি ও ক্ষয় বুঝা যায় বৃদ্ধিও চল্প প্রকোপভেদে দুই প্রকার। দোষাদিবিজ্ঞানীরাধারে সামান্যতঃ বৃদ্ধি ও ক্ষয় লক্ষণ বলা হইয়াছে ; এক্ষণে চয় প্রকোপরাপ বৃদ্ধিনিদান সংক্ষেপে কথিত হইতেছে-ক্রক্ষাদি বাতগুণসমূহ, (বিরুদ্ধ) উষ্ণগুণযুক্ত হইয়া বায়ুর সঞ্চয় ও শীতওঁণান্বিত হইরা বায়ুর প্রকেঁপ করে। অপিচ স্নিগ্ধাদিগুণ সকল উষ্ণ গুণযুক্ত হইয়া বায়ুর প্রশমকেরিয়া গ্রাঁকে। তীক্ষাদি পিত্তগুণ সকল শীতগুণযুক্ত হইয়া পিত্তের সঞ্চয় ও উষ্ণগুণযুক্ত হইয়া পিত্তের প্রকোপ করে। स्त्रांत्रिं মন্দাদিগুণসমূহ শীতগুণযুক্ত হইয়া পিত্তের প্রশম করিয়া থাকে। স্নিগ্ধাদিগুণ সকল শীতগুণযুক্ত হইয় শ্লেষ্মার সঞ্চয় ওঁ উষ্ণগুণযুক্ত হইয়া শ্লেষ্মার প্রকোপ করে এবং রূক্ষাদিগুণসমূহ উষ্ণগুণযুক্ত হইয়া কফের প্রশম করিয়া থাঁকে ৷ ১৯-২১ স্ব স্ব স্থানে দোষের যে বৃদ্ধি, তাহাকে চয় কহে । দোষেরুচয় হইলে দোষবৰ্দ্ধক কারণে দ্বেষ ও তাহার বিপরীতগুণে অভিলাষ জন্মে। অর্থাৎ বায়ুর চয় হইলে বাতাবৰ্দ্ধক রুক্ষাদি কারণে দ্বেষ জন্মে, এবং তদ্বিপরীত স্নিগ্ধাদি গুণে অভিলাষ জন্সিয়া খুকে । বৃদ্ধি কারণে দ্বেষ ও বিপরীত গুণে ইচ্ছা এই দুই লক্ষণ যুগপৎ উপস্থিত হইলে তবে দোষের চয় নির্ণয় করিবে। নতুরা নহে। পিত্ত শ্লেষ্মার বিষয়েও এইরূপ নিয়ম জানিবে। সঞ্চিত দোষ অতিবৃদ্ধি হেতু স্বস্থান ত্যাগ করিয়া উন্মাৰ্গগামী হইলে অর্থাৎ স্থানান্তরে গমন করিলে তাহাকে কোপ কহে। প্রকুপিত দোষ