পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাঙ্গাহৃদয় । [ ১২শ অঃ শূলবৎ বেদন), ভেদন (অঙ্গের বিদারণব্যুৎ পীড়া), সঙ্গ (মলমুত্রাদির অনিঃসরণ ও বাক্যের বদ্ধত), অঙ্গভঙ্গ, সঙ্কোচ (শিরাদির সঙ্কোচ), বর্ত্ত ( পুরীষাদির পিওঁীকরণ ), লোমাঞ্চ, তৃষ্ণা, কম্প, পরুষতা, অস্থির সচ্ছিদ্রতা, রসাদির শোষ, স্পন্দন । কিঞ্চিৎ চলন ), বেষ্টন (রজ্জ্ব প্রভৃতি দ্বারা, বেষ্টনব্যুৎ পীড়া ), স্কন্ধতা , কষয়াস্বাদ এবং শ্যাব ও অরুণ বর্ণ এই গুলি বায়ুর কার্য্য পিত্তের কার্য্য। দাহ (সর্ব্বাঙ্গ সন্তাপ ), লৌহিত্যঃ উষ্ণতা, পাকিত (অজীর্ণে পাককর্তৃত্ব ); স্বেদ, ক্লেদ, আব, কোথ, অবসাদ, মুর্জন (ভ্রম), মদরোগ, কটু ও অন্নরস এবং পাণ্ডুর ও অরুণভিন্ন বর্ণ এই সমস্ত পিত্তের কার্য্য ৷৷ ৪৬-৪৮ শ্লেষ্মার কার্য্য। স্নিগ্ধতা, কাঠিন্য, কg (চুলকানা ), শৈত্য, গৌরব, স্রোতঃসমূহের বদ্ধতা, অস্থাদির উপলেপ, স্তৈমিত্য,( শরীরের অপটুত ), শোথ, অপরিপাক, অতিনিদ্রতা, গাত্রের শ্বেতবর্ণতা, মধুর ও লবণ রস এবং চিরকারিতা ( বিলম্বে কার্যনিম্পূক্তি) এই গুলি শ্লেষ্মার কার্য্য। এইরূপে দোষ সমূহের সকল রোগ ব্যাপক যে সকল লক্ষণ উক্ত হইল তাঁহা, ব্যাধির অবস্থাবিভাগজ্ঞ সাবধান চিকিৎসক দর্শনস্পৰ্শনাদি দ্বারা রোগীদিগকে প্রতিক্ষণ সম্যক লক্ষ্য করিয়া অবগত হইবেন ৷৷ ৪৯-৫১ অভ্যাসহেতু (চিকিৎসাকর্ম্মে বারংবার প্রবর্তন হেতু) কর্ম্মসিদ্ধিপ্রকাশক চিকিৎসা বিজ্ঞান জন্মে। কেবল অধ্যয়ন করিলেই চিকিৎসা শাস্ত্রে জ্ঞান জন্মে না। - সুবর্ণরত্নাদির সদসৎ জ্ঞান যেমন পুনঃপুনঃ দর্শন দ্বারা জন্মিয় থাকে, কেবল রত্নশাস্ত্রে জ্ঞান থাকিলে রত্ন জ্ঞান হয় না, সেইরূপ শাস্ত্রজ্ঞান ও সর্বদা আতুর দর্শন হেতু কর্ম্মসিদ্ধিদায়ক চিকিৎসাঙ্গান জন্সিয়া ९ ॥ • १२ f TP - ব্যাধিসমূহ তিন প্রকার। তন্মধ্যে কতকগুলি ব্যাধি দৃষ্টপচার ' ( ইহ জন্মক্তব্যাধিহেতু ) হইতে, কতকগুলি আত্মকৃত প্রাক্তন অশুভ কর্ম্ম হইতে এবং কতিপয় রোগ এই উভয় মিশ্র হেতু হইতে উৎপন্ন হইয়া থাকে || ৫৩ যে দোষের যে নিদান ( যেমন, বাতাদিদোষের লঘুরুক্ষণদি নিদান ), সেই নিদান-কুপিত দোষ হইতে যে সকল রোগ জন্মে, তাহাঁকে দোষজ ( দৃষ্টপচারজ) ব্যাধি ; হেতু ব্যতিরেকে যে রোগ জন্মে, তাহাকে কর্ম্মজ এবং অল্প হেতুতে প্রবল পুর্বরূপাদি যুক্ত যে রোগ উৎপন্ন হয়, তাহাকে দোষকর্ম্মজ রোগ বলে ॥ ৫৪ এই ত্রিবিধ রোগের মধ্যে দোষজব্যাগ্নি, নিদানবিপরীত দ্রব্যাদি সেৰন দ্বারা, কর্ম্মজব্যাধি কর্ম্মক্ষয় দ্বারা এবং উভয়জন্ম অর্থাৎ দোষকর্ম্মজ ব্যাধি, দোষ ও কর্ম্ম এই উভয়ের ক্ষয় হেতু বিনাশ প্রাপ্ত হয়৷ ৫৫ - S. ব্যাধির ত্রৈবিধ্য বর্ণনা করিয়া এক্ষণে দ্বৈবিধ্য প্রদৰ্শিত হইতেছে। ব্যাধি দুই প্রকার, যথাস্বতন্ত্র (প্রধান) ও পরতন্তু (অপ্রধানু)। পরতন্ত্র ব্যাধি আবার দুই প্রকার, যথা-য়োগের পূর্বজাত পূৰ্বরূপসংজ্ঞ এবং পশ্চাৎ জাত উপদ্রবসংজ্ঞক। (স্বনিদানকুপিত দোষদ্বারা উৎপন্ন ব্যাধিকে স্বতন্ত্র এবং স্বতন্ত্র ব্যাধি উৎপন্ন হইবার পরে বা পুর্বে তাহার পরিকর স্বরূপ যে সকল রোগ জন্মে, ड्रु'त्रिक ’ब्रट दांत्रिं कष्ट्र) ॥ ९७