পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अकेत्रिश् । YMeet VN . 8يا অস্নেহ নির্দেশ। যাহারা অতিমন্দাগ্নি বা তীক্ষাধি, অতিস্থল, অতিদুৰ্বল, যাহারা উরুস্তম্ভ, অতিসার, আমাদোষ, গলরোগ, গরোদর, মূৰ্ছা বমি অরুচি শ্লেষ্মদোষ তৃষ্ণা বা মন্ত দ্বারা পীড়িত, যাহারা অন্তগর্ভা, তাহাদিগকে স্নেহ প্রয়োগ করিবে না। ন্যস্ত বস্তি বা বিরোচনাক্রিয়ার পরও • , بیا-تفG:{& etCliey {t&ti চৗরি প্রকার মেহের মধ্যে যে স্নেহ যাহাঁদের পক্ষৌহিতকর, তাহ প্রদৰ্শিত হইতেছে। বুদ্ধি স্মৃতিশক্তি মেধা ও অগ্নি আফাজাকারিদের পক্ষে স্থত প্রশস্ত। গ্রন্থি নাড়ীব্রণ ক্রিমি শ্লেষ্মা মেদ ও বাতিরোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের এবং বাহারা শরীরের লঘুতা ও দৃঢ়তা কামনা করে ও যাহারা কুরকোষ্ঠ তাহদের পক্ষে তৈল প্রশস্ত। যাহারা বায়ু আতপ পথপর্যটন ভারবহন স্ত্রীসঙ্গ ও ব্যায়াম দ্বারা ক্ষীণধাতু, যাহারা রুক্ষদেহ ক্লেশসহ ও তীক্ষাধি, যাহাদের স্রোতঃ সমূহ বায়ু দ্বারা আবৃত, তাহদের পক্ষে বাসা ও মজ্জা প্রশস্ত। “বিশেষতঃ সন্ধি, অস্থি, মর্ম্ম ও কোষ্ঠ বেদনায় দাহ ও আঘাত জন্য পীড়ার বেদনায়, ষোনি-ভ্রংশজনিত বেদনায়, এবং কর্ণরোগে ও শিরোরোগে বসাই শ্রেষ্ঠ ॥৯-১১ 瞬 এক্ষণে কোন ঋতুতে কোন স্নেহ সেবন করা উচিত, তাহা কথিত হইতেছে। প্রাবৃটি কালে ( বর্ষাকালে ) তৈল, শরৎকালে ঘূত এবং বসন্তকালে বসা ও মজ্জা মোহনার্থ প্রশস্ত । সাধারণ ঋতুতে (ঋতুলক্ষণ সকল যখন সমভাবে থাকে, শ্রাবণাদি মাসে) আকাশ মণ্ডল মেঘাদি শূন্য ও পরিষ্কার থাকিলে দিবসে সংশোধনের পূর্ব্বে তৈলাদি স্নেহ চতুষ্টয় প্রয়োগ করবে। তৈল যে কেবল বর্ষাকালেই প্রয়োগ করিতে হইবে, এমন নহে। ব্যাধির অবস্থা বিশেষে যদি সম্বর দেহ ক্রিয়া আবশ্যক হয়, তাহা হইলে হেমন্ত শিশিরকালেও সংশোধনের পূর্ব্বে-মোহনার্থ তৈল প্রয়োগ করা যায়। কেবল শরৎকালেই স্বত, প্রয়োগ করিতে হইবে, তাহা নহে ; গ্রীষ্মকালেও রাত্রিতে ঘূত প্রয়োগ করিবে। আর পিত্ত বা বায়ুর প্রকোপ অথবা সংসৰ্গ কিংবা কুপিত বাত বা পিত্ত জন্য রোগ স্নেহসাধ্য হইলে খ্রীষ্মকালে রাত্রিতে দ্বত প্রয়োগ করিবুে। এইরূপ পিত্তাধিক সংসর্গে (বাতপিত্ত বা পিত্তশ্লেষ্ম) বা তজ্জনিত রোগেও গ্রীষ্মকালে রাত্রিতে ঘৃত প্রয়োগ কৱিবে । কিন্তু ইহার অন্য আচরণ করিলে অর্থাৎ শীতকালে রাত্রিতৃেত্বত প্রয়োগ করিলে বতশ্লেষ্মীজ রোগ এবং গ্রীষ্মকালে দিবসে তৈল প্রয়োগ করিলে পিত্তজনিত রোগ জন্সিয়া থাকে। বসা ও মজ্জার অনিশ্চিত স্বরূপ হেতু এরূপ বিশেষ নিয়ম কিছু কথিত হয় নাই ৷৷ ১২-১৫ মেহোপযোগ বিধি [ ঘূতাদি স্নেহ সমূহ যুক্তিপূর্বক (মাত্রা কাল ক্রিয় ভূমি দেহ দোষ প্রভৃতি বুঝিয়া ) ভক্ষ্য ভোজ্যাদি অল্পের সহিত বা ত্রিবিধ বন্তিক্রিয়া, নস্য, অভ্যঙ্গ, গঙুষ, মূর্ব্বতৰ্প, কর্ণপুরাণ বা অক্ষিতৰ্পণে ( তৰ্পণ পুটপাকাদিতে) প্রয়োগ করিবে ॥ ১৬ ত্রিযাষ্ট্রপ্রকার রসভেদের সহিত মেহাপ্রয়োগ এবং ক্ষস ব্যতিরেকে কেবল মাত্র স্নেহ প্রয়োগ এই চতুঃষষ্টি প্রকার স্নেহ প্রয়োগ কল্পনা হইয়া থাকে। ভক্ষ্যদ্রব্যের ও রসভেদের সহিত প্রযুক্ত হওয়ায় এবং শিরোঘিরেচন ও মুৰ্দ্ধকর্ণাক্ষি-তৰ্পণে অল্পমাত্র প্লেযুক্ত হওয়ায় দেহ পদার্থের গুণ অভিভূত হয়, সেই জন্য স্নেহ প্রয়োগ কল্পনা চতুঃষষ্টি প্রকার হইয়া থাকে। ১৭ যথোক্ত কারণভাবে (অর্থাৎ পুৰ্বে ৬৪ প্রকার স্নেহপ্রয়োগ কল্পনার যে হেতু ঋখিত হইয়াছে তাহার অভাবে) আচ্ছপেয় স্নেহকে স্নেহপ্রয়োগ কল্পনা বলা যায় না। এস্থলে