পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯শ অঃ ] - সূত্রস্থান। సా পূর্বেই) অনুবাসন বস্তি দিবে। হেমন্ত শিশির ও বসন্তকালে দিবসে অনুবাসন বস্তি দিবে। কোন কোন আচার্য্য বলেন-হেমন্ত্যাদি ঋতু ভিন্ন অন্ত ঋতুতে-গ্রীষ্ম প্রাবৃটি ও শরৎ ঋতুতে“রাত্রিতে অনুবালান দিবে, কিন্তু ধন্বন্তরি সম্প্রদার কোন ঋতুতেই, রাত্রিকালে সুবাসন দিতে বলেন না। অনুবাসন বস্তিদানের পূর্বে ব্লোগিকে তৈলাভাঙ্গ, স্নান, অভ্যস্ত ভোজনের পাদহীন (চতুর্থাংশ কম) হিতকর লঘু কিঞ্চিৎ স্নিগ্ধরুক্ষ দ্রৰোঞ্চস্থাদি গুণযুক্ত সানুপািন পান ভোজন,পদব্রজে ভ্রমণ ও মল মুত্রত্যাগ করাইয়া অনতি উচ্চ অনুষ্ট্ৰিছীর্ষ সুখকর শয্যায় বামপাশ্বে শয়ন করাইবে। শয়নকালে বামপদ প্রসারিত ও তাহার উপর দক্ষিণ পদ,সঙ্কুচিত করিয়া থাকিবো। ২২-২৫ অনন্তর এইরূপে শয়ন করিলে রোগির গুহাদেশ ও বন্তিনেত্র তৈলাদি দ্বারা নিগ্ধ করিবে: এবং নেত্রমুখে ফুৎকার দ্বারা উচ্ছাস বায়ু প্রবেশ করাইয়া' নেত্রমুখ টিপিয়া গুহাদেশে প্রয়োগ করিবে, তৎপরে অনতিদ্রুত নীতিবিলন্বিত অনতিবেগ বা নাতিমন্দভাৰে অকম্পিত হন্তে-পৃষ্ঠা ংশাভিমুখে একবার পীড়ন করিবে, তাহাতে সমস্ত দ্রব্য গুহ্যদেশে যাইবে, কেবল অল্প স্নেহ বস্তিতে অবশিষ্ট রাখিবে, কারণ মেহের শেষ থাকিলে তা হাতে বায়ু থাকিবে ॥ ২৬-২৮ ° স্নেহ অতি প্রদত্ত হইলে রোগিকে উত্তান ভাবে (চিৎ করিয়া ) শয়ন করাইবে, তাহার স্ফিক (পাছা ) দ্বয়ে হস্ত ও রোগির পাঞ্চি দ্বারা আঘাত করিবে এবং পায়ের দিক্‌ হইতে শয্যাকে তিনবার উত্তোলুনি,করিবে ॥ ২৯ তৎপরে উপাধীনে মন্তক রাখিয়া প্রসারিত দেহু রোগিব পাঞ্চিৰ্গদেশে মুষ্টিদ্বারা আঘাত করিবে, এবং তাহার গড় তৈলাদি দ্বারা অত্যক্ত করিয়া মৰ্দ্ধন করিব। ইহার উদ্দেশ্য এই যে, শরীর বেদনার্ত্ত হইলে শীঘ্র স্নেহ নিৰ্গত হইবে না। যদি মেহ শীঘ্র বহির্গত হইয়া যায় তাহা হইলে অপর স্নেহ প্রয়োগ করা সুবিশ্যকঁ; কারণ শরীরাভ্যন্তরে থাকিতে না পারিলে উহা কার্য্যকারক হয় না। অর্থাৎ স্নেহন কার্য্যে সমর্থ হয় না। রোগী দীপ্তাগ্নি ও নিবৃত্তস্নেহ হইলে তাহাকে ংকালে লুথু মাত্রায় ভোজন করাইবে ॥ ৩০-৩২ মেহের চরম নিবৃত্তিকাল তিন প্রহর। যদি তিন প্রহরের মধ্যে স্নেহ নিবৃত্তি না হুয়, তাহা হইলে অহােরাত্র উপেক্ষা করিবে। ইতোমধ্যে স্নেহাকর্ষণের জন্য চেষ্টা করিবে না। অহােরাত্রের পর অর্শশ্চিকিৎস্তিাক্ত ফলবর্ত্তি অথবা বস্তিকল্পোক্ত তীক্ষ্মবস্তি দ্বারা স্নেহাগমনার্থ যত্ন করিবে ॥ ৩৩ . e. শরীরের অতি কুক্ষতা হেতু যদি স্নেহ বিনির্গত না হয় এবং তজ্জন্য শরীরের জড়তা অগ্নিমান্দ্য প্রভৃতি দোষ উপস্থিত না করে, তাহা হইলে স্নেহলিঙ্কাশনে যত্ন না করিয়া “রাত্রিতে উপবাস দিবে। cናቕና ዏiጻ፫ቕsi প্রাতঃকালে ধনে ও ఆడ్రి ঈষদুষ্ণ কাথি বা কেবল গরম জল পান করাইবে ॥ ৩৪ সেই রোগকে পুনৰ্বার তৃতীয় বা পঞ্চম দিবসে অনুবাসন” বস্তি দিবে। অথবা জঠরাগ্নির শক্তি বুঝিয়া-যতদিনে মেহের পরিপাক হয়, তত দিন পরে-অনুবাসন বস্তি প্রদান করিবে। প্রবল বাতবিশিষ্ট, ব্যায়ামনিত্য, দীপ্তাগ্নি ও রুক্ষ ব্যক্তিদিগকে প্রত্যহ দেহঁবস্তি দিবে ॥৩৫ জুই প্রকাত্রে তিন চারিবার অনুবাসন বন্ত্রি প্রদান করিলে শরীর স্নিগ্ধ হইবে। তৎপরে স্রোতো বিশুদ্ধির জন্য শোধন নিরূহবস্তি প্রয়োগ করিবে। কিন্তু শরীর নিন্ধ না হইলে রুক্ষ অর্থাৎ, নিরূহ বস্তি না দিয়া মোহন বস্তিই দিবে ॥ ৩৬ gs