পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/১৯৯

» अ]  ? শারীরস্থান। ‘’ ৷ Ꮥ8Ꮔ অষ্টম মাসের পর একদিন অতিক্রান্ত হইলেই প্রসবের কাল জানিবে। এই সময় হইতে, দ্বাদশমাস পর্য্যন্ত প্রসবকাল। এই সময়ে প্রসব হইলে সন্তান দীর্ঘায়ুষ্কান্দিলক্ষণান্বিত হয়। অতঃপর বায়ুকর্তৃক কুক্ষিতে গর্ভ ধারিত হওয়ায় ; ভুমিষ্ঠ না হইলে তােহা বিকারকারী दब्रां १icक•॥ १२१० . . নবমমাসে মাংসরসান্বিত স্নিগ্ধ অন্ন প্রশস্ত অথবা বহুস্নেহসাধিত যাবগু এবং দ্রাক্ষাদি মধুৱদ্রব্য সাধিত জ্বর্তের অনুবাসূন প্রশস্ত। এই ‘মাস হইত্ত্বে, অনুবাসনোক্ত স্বতাক্ত পিচু ‘’ (কাপাসতুলার বর্ত্তি) গর্ভিণীর যোনিতে সর্ব্বদা প্রয়োগ করিবে। ইহাতে বায়ুর শান্তি হওয়ায় সুখে প্রসব হয়। বাতন্ত্রপত্র সমুহের কাথ শীতল করিয়া তদ্বারা গর্ভিণীকে প্রত্যহ স্নান করাইবে। এখুন হইতে" প্রসবকাল পর্যন্ত গর্ভিণীকে ‘নিঃস্নেহাঙ্গ রাখিবে না। অর্থাৎ প্রত্যহ উত্তমরূপে তৈল্লাভাঙ্গ করাইবে, ইহাতে বায়ুৰ শান্তি হইবে ॥৭৪-৭৬ * , ইদানীং গর্ভিণীর পুত্রু কস্তা নপুংসক বা যমক প্রসবের লক্ষণ কথিত হইতেছে—যে গর্ভিণীর প্রথমে দক্ষিণ স্তনে দুগ্ধ উৎপন্ন হয়, যাহার গমন গ্রহণ শয়ন' প্রভৃতিতে প্রথমে দক্ষিণ অঙ্গের চেষ্টা হয়, অর্থাৎ গমনকালে প্রথমে দক্ষিণপাদ এবং গ্রহণকালে দক্ষিণ হস্ত প্রসারণ হয়, যাহার পুন্নানন্ধুেয়ািদ্রব্যে দৌহৃদ, পুন্নামক প্রশ্নে অনুরাগ, পুংবিষয়ক স্বপ্ন দর্শন (স্বপ্নে পুরুষ গজ অশ্ব বুঢ়াহাদি প্রাণী বা আম্র দাড়িমাদি বৃক্ষ দর্শন ), যাহার দক্ষিণ কুক্ষি উন্নত এবং গর্ভ বর্ত্তালাকার হয়, সে গর্ভিণী পুত্র প্রসব করে। আর যাহার এই সকল লক্ষণের বিপরীত লক্ষণ (বামন্তনে দুগ্ধ বামপার্শ্ব চেষ্টা প্রভৃতি) প্রকাশিত হয়, যােহাল্প পুরুষ , সঙ্গে ইচ্ছা হয়, যাহার নৃত্য বাদ্য গান্ধর্ব্ব (সঙ্গীতাদি, গন্ধ ও মার্ল্যে আকাঙ্ক্ষা জন্মে, সে কন্যা প্রসব করিয়া থাকে। এই উভয় লক্ষণের (পুত্রপ্রসূলক্ষ্মণ, ও কন্যাপ্রসব লক্ষণের) সৃষ্কির্য ঘটিলে এবং কুক্ষির মধ্যভাগ উন্নত হইলে ক্লীব জন্মে। আর দ্রোণীর ন্যায় উদরের দুইপার্থ উন্নত এবং মধ্যভাগ নিম্ন হইলে যমজ সন্তটি প্রস্তুত হইয়া থাকে ৷ ৭৭-৭৯ ' ' ' ' O গর্ভিণী নবম মুসের পুর্বেই শুভ নক্ষত্রযুক্ত দিবসে বহুপ্রস্তুত ও প্রসবকালোচিত ব্যবহারকুশল৷ স্ত্রীগণে পরিবেষ্টিত হইয়া, রাস্তুবিস্তাবিদ ব্যক্তির দ্বারা প্রশস্ত দেশে নির্ম্মিত ও সর্ব্বোেপকরণ সম্পন্ন স্মৃতিক গৃহ’আশ্রয় করিবৃেএবং তথায় প্রসবকালের প্রতীক্ষা করিবে ॥ ৮৮১ আসন্নপ্রসবার লক্ষণ।... আসন্নপ্রসবা স্ত্রীর (অর্থাৎ যাহারা: আজ কালের মধ্যে প্রসব করিবে, তাহাদের) গ্লানি '(হর্ষভােব ), কুক্ষি ও চক্ষুর শৈথিল্য, ক্লাস্তি, অধোদেশের গুরুত্ব, অরুচি, মুখপ্রসোর্ক (মুখ দিয়া জল উঠা ), বারংবার প্রস্রাব, উরু, উদার, কটী, পৃষ্ঠদেশ, হৃদয়, বন্তি ও কুঁচকি স্থানে বেদনা, “ যোনিতে ভেদবৎ \বিদারণবৎ) বা সুচীবেধবৎ যন্ত্রণা, ক্ষুদ্রণ ও হস্রাব হয়। ষোনি ভেদাদির পর আবির (গর্ভনিস্ক্রমণ কুলের শূল বেদনার ) উৎপত্তি, তৎপরে গর্ভোব্দুকের স্রাব ( যোনি হইতে জলস্রাব মাত্র) হইয়া থাকে ॥ ৮২-৮৪ আবি ও গর্ভোদক আব্ব দ্বারা গর্ভিণীকে অভিমুখীভূতগর্ভা,”জানিয়া উত্তমরূপে তৈল মাখাইরা গরম জলে স্নান করাইবে এবং বাহুতে রক্ষাবন্ধনাদি কৌতুক মঙ্গলাচরণ করিয়া সন্ধত পেয়া পান করাইবে । পেয়া পান কালে গর্ভিণী পুল্লামধেয় দাড়িম্বাদি ফল হন্তে ধারণ করিয়া থাকিবে। তৎপরে গর্ভিণী পদদ্বয় সঙ্কুচিত করিয়া উত্তানভাবে (চিৎ হইয়া) কোমল