পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসমীয়া সাহিত্যের শৈশব ও কৈশোর సి ভাষার দিক দিয়া একই মল উৎস হইতে তাহারা রসপান করিত। অসমীয়া ও বাংলা ভাষার মধ্যে ঐক্য ও সাহিত্যে বিষয়বস্তুর একতা প্রধানতঃ এই কারণে। অসমীয়া গীতের নায়কও গোপীচন্দ্র— মএনামতির বিআও হইল মাণিকচন্দ্রের ঘরে সিন্দরমতির বিআও হইল নিলমণি রাজার ঘরে। মএনাক বিআও করি পঞ্চাশ বিআও করে বঢ়া দেখি মওনামতির ব্যালগ করি দিলে। অসমীয়া সাহিত্যের আদিম নিদশন গান, বচন, দোহাঁ, মন্ত্র ভণিতাগুলি। জনসাধারণের মখে মুখে এইগুলি গীত হইত এবং পরে লিপিবদ্ধ হয়। ইহাতে তখনকার দিনের পারিবারিক সামাজিক রীতিনীতি ব্যবস্থাবিধানের একটা সন্দের চিত্র পাওয়া যায়। মানুষের মনে সীমাবদ্ধ যে ভাবগুলি ঘোরাফেরা করে সেইগুলির স্বচ্ছ সরল সহজ প্রকাশ এইসব গ্রাম্যকবির প্রাচীন পদগুলিতে। ধাইনামে দেখি— আমাকে মইনা শবে এ আমারে মইনা হালিছে জালিছে কালি দুপুরের ভাতে। ভাত খাই মইনা দোলত উঠিলে পানি খাই মইনা শোবে। তামোল খাই মইনা সেলেণ্ডিগ লাগিলে দোলা কাতি হৈ পবে। সেই যে গ্রাম কবির ময়না, যে ‘এতিয়াই গরম লই যাব এ’ সে বিপ্রহরে ভাত খাইল, জল খাইল, শ্যইল, দোলার উপর কাত হইয়া পড়িল—এই যে সহজ জীবনের সরল অভিব্যক্তি সামান্য কথায় সেগুলি অপরাপ হইয়া উঠিয়াছে। লিবা শাওবানাম এ দেখি আবার সেই প্রাণের প্রিয় ময়না— ধেন চারি মইনা মোর গচাইলেক অতি বদ পাই জিলিকিছে মুকুতার দাঁত। দৈ থৈছো দগধ থৈছো থৈছো আর লার শবের শয্যা পারি থৈছো তাতে থৈছো গার ॥ মুকুতার মত দন্তপাটি চিরকালই রসিক সাহিত্যের মনোরঞ্জন করিয়াছে। দধি গন্ধে লাড় তাহার ভোজনবিলাসকে পরিতৃপ্ত করিয়াছে। শইবার শয্যা তাহার আরামকে ঘনীভূত করিয়াছে। কবি রসিক, বলিতেছেন— ফলি আছে গোলাপফল, নে ভাঙ্গিবা দাল । আমার মইনা বহি আছে - দেখিবলৈ ভাল।