পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসমীয়া সাহিত্যের শৈশব ও কৈশোর SS কঙ্কণাঘাতের চিহ্ন দেখিয়া ইহাই নিজের ললাটলিপি ও নিয়তির খেলা বুঝিয়া আত্মপরিচয় দেয় ও আত্মসমপণ করে। তারপর ঘষিবাকা দিলা আনি গন্ধপক্ষেপতেল গাধবোকা দিলা আনি উত্তম গঙ্গার জল। বসিবাকা দিলা আনি গামেরির পিড়া ভোজনাত দিলা আনি মালভোগ ধানের চিড়া ॥ খাইয়া দাইয়া অতিথি বাপ শয়ন করিল। গাত্রমাজনের জন্য গন্ধপক্ষেপতৈল, স্নানের জন্য উত্তম গঙ্গাজল, খাইবার জন্য উৎকৃষ্ট মালভোগ ধানের চিড়া, সমাজবিন্যাসের উচ্চস্তরেরই পরিচয় দেয়। গহনার তালিকায় দেখি, শতধনু হার টার বা সাতসরী নয়, দেবতাদের অঙ্গের যেসব ভূষণ আছে তাহাও— হার পিন্ধে, টার পিন্ধে, পিন্ধে সাতসরী দেবাঙ্গভূষণ পিন্ধে ইন্দ্রে দিছে আনি । আবার ফলের সাজও আছে— সেউতী পিন্ধিছে, মালতী পিন্ধিছে, পিন্ধিছে খড়িকা জাই সেউতীর এচাকি, মালতীর এচাকি, আর চম্পাকলির চাকি। এই বিয়ানাম কবিতাগুলিতে আমরা হরগৌরীর বিয়া’, রামসীতার বিয়া, কৃষ্ণরকিমণীর বিয়া', 'উষা-অনিরদ্ধের বিয়ার কাহিনী পাই। হরগৌরীর বিবাহে কিন্তু দেখি যে লক্ষী-সরস্বতীও আসিয়াছেন— লক্ষমণী সরস্বতী দুই ভনী আহিছে 2. হররে অলঙকার লৈ । . কিন্তু বর মহাদেব—তাঁর কি দুরবস্থা, বারো বছর তিনি গা ধোন নাই, গন্ধে প্রাণ যায় আর কি— কৈলাসরে পরা মহাদেউ আহিছে বষেভ বাহনত উঠি । আজি বারো বছর বাহি গা ধোবা নাই গন্ধে প্রাণ যায় ফুটি ৷ শিব আহি পালেহি হেমবন্তর ঘর ভাঙ্গ খন্দো সজুলিরে জলিরে নগর। কৃষ্ণর কিমণীর বিবাহ, উষা-অনিরুদ্ধের কাহিনী অসমীয়া সাহিত্যে অতি প্রাচীন কাল হইতে স্থায়ী পথান করিয়া লইয়াছে। রকিমণীহরণ, কুমরহরণ প্রভৃতি কাব্য ও নাটকের বহন পাবে বিয়ানাম প্রভৃতি গ্রাম্য কথা ও কাহিনীতে এই আখ্যান গলি অমর হইয়া জনচেতনায় ভাস্বর হইয়া আছে।