পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8 অসমীয়া সাহিত্য সহজে চঞ্চলি মদনে বিকলি নিভয়ে তরুণীজন কামভার পাশে রতিরঙ্গ বসে করে প্রভু স্মরণ তান নখে ক্ষত সরত রেকত নাগর প্রভুর সঙ্গে খোপা সলকিল কুসুম খসিল নিভীর সরতি রঙ্গে । শধে তাই নয়— তিনি চারি নারি হাতে হাতে ধরি পথতরঙেগ লবরে . . মান পরিহার কেহো বরনারী চলিগৈলা প্রভু থানে ঘোর কামবাণে দুঃসহ সন্ধানে সহিব কার পরাণে । নরনারীর মিলনকে কেন্দ্র করিয়া যুগে-যুগান্তরে দেশে-বিদেশে পবরাগ মিলন বিরহ বেদনা লইয়া রসোতজবল সাহিত্য গড়িয়া উঠিয়াছে। কবির মন সেখানে একান্তমুখী সাটিতেই ব্যস্ত। সেখানে সেইসব চিত্র সমাজের নীতির পরিচায়ক এই কথা শতধনু আংশিকভাবে সত্য। তাই সাহিত্যের বা শিল্পের ঐ কামায়নপ্রচুর নিদশনগুলি লইয়াই জাতির নৈতিক মেরুদন্ডের মান বিচার করা চলে না। অসমীয়া সাহিত্যেও প্রথানে পথানে রসসমন্ধ গাঢ় দেহজ প্রেমের বর্ণনা পাই। পড়িয়াই যেন না সিদ্ধান্ত করি যে সেই সাহিত্যে কামগন্ধ আছে এবং তৎকালীন সমাজে ইহার প্রাচুর্য ছিল । বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃত সাহিত্যের তুলনায় অসমীয়া সাহিত্য এ বিষয়ে বেশীরকমের নিদোষ। তখনকার দিনের কবিরা নরনারীর মিলনকে সহজভাবেই গ্রহণ করিতেন, বিশেষতঃ বৈষ্ণব কবিরা কাব্য রচনা করিতেন রসসটির জন্য নয়, ধর্মপ্রচারের জন্য ও ভগবভক্তি প্রাণোদিত হইয়া । তাই দেহাতীত Sublimation-এর চেষটা ছিল। শেষপর্যন্ত চকীকৃত চার চাপ বিফলই হইত। বীরাসন শিথিল করিয়া ভগবানের তৃতীয় নেত্র , “ভসমাবশেষং মদনং’ করিত। 聯 বিহুগীতও বেশী ভাগই আদিরসাত্মক। পবেই বলিয়াছি, কোনো কোনো ঐতিহাসিক বোহাগবিহু, কাতিবিহু, মাঘবিহু উৎসবকে অস্ট্রিক ভূমাতার উৎসব বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। আবার কেহ কেহ ইহার মধ্যে ঐতরেয় মহাৱত বিষমবাহ প্রভৃতি যজ্ঞের ধবংসাবশেষ দেখিতে পান, যেমন কাতিবিহু অশিবনন্বয়ের উপাসনা ও ত্রিযামা রাত্রের এক এক যামে সোমপানের উৎসব, মাঘবিহুতে অগ্নির সংবর্ধনা ও পিটক উৎসবের অনুষ্ঠান। বিহসোহিত্যের কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে দিতেছি— ওপর উড়ি যায় কালিন্দী ভোমোরা ঠিয় হৈ আছিলো চাই। তোমারে আমারে পিরীতি লাগিলে চকুরে চকুরে চাই।