পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○パり অসমীয়া সাহিত্য করে। কোথায় আমার মলয়া, তোমার জন্য সব আনিয়া দিতেছি— শাল শাল করে তাই শাল আনি দিলোঁ মই শালত ধরি ধাঁর কান্দে অ মোর মলবো রে। সীতা সতো করি কান্দে তাই সতো আনি দিলোঁ মই সন্তাত ধরি ধরি কান্দে অ মোর মলবো রে । আবার কোনো বণিকপ্রিয়া লীলাবতী প্রিয়বিরহিত হইবার ভয়ে প্রিয়তমকে বাণিজ্যে যাইতে দিবেনা— মাঝিক দিব টকাটকা গাবিয়াল ক দিব সোণা আমার সাউদ বণিজে যায় সবে দিও মানা। তুং কুতুবা বা দয়া বাল স্থি প্রতি সকল ঘন আলি আর মখে দোখবে। এই যুগের অসমীয়া সাহিত্যে বারমাহী’ গীতের প্রভাবও প্রচুর। এই বারমাহী’ গানে কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য করিবার বিষয়— ১. কন্যার মখ দিয়া সমাজজীবনের বারো মাসের একটি পণ চিত্র পাওয়া যাইতেছে। ২. প্রিয় ব্যক্তি বাণিজ্য করে—বাণিজ্যব্যত্তি খবই সাধারণ বত্তি। দেশে সখেসমাধি পর্যাপ্ত ছিল—অন্নং বহন কুবীত। ৩. মাসগণনার আরম্ভ হইতেছে অগ্রহাযণ হইতে। নতুন ধান্য উঠিয়াছে, ঘরে ঘরে নবান্ন—কৃষিসুলভ গ্রামীণ সভ্যতার বিকাশ । মধুমতীর গীত ও কন্যা বারমাহী গীতে দেখি অগ্রহায়ণ— অঘোনের মাহতে কন্যা সংসারে নবান ধান কতেক খাইতে মধ্য কতেক পরাণ। যার সঙ্গে প্রিয়া আছে রান্ধি ভাত খায় আমার সঙ্গে প্রিযা নাই (থাকিম) পরের মুখ চাই ॥ অগ্রহায়ণে নবীন ধান্যের মধ্যে কতক খাইতে সবাদ। কবি বলিতেছেন যেন মধন। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়িতেছে যার সঙ্গে ঘরণী গহিণী আছে সে সদ্যতপত উষ্ণ অন্ন পণানন্দে খায়, আর যার সঙ্গে প্রিয়া নাই (যেমন তার প্রিয়র) সে পরের মুখে চাহিয়া থাকে। প্রিযজন বিদেশে থাকিলে তার আহার রন্ধন কিরাপ হয় ইহার জন্য উৎকন্ঠা যুগে যাগে নারীচিত্ত মথিত করিয়াছে। সেইজন্য মধুমতীর গানেও সেই আকুলতা— খাবলৈ না পালা প্রভু নবান ধানের ভাত। নতুন ধানের চালের ভাত তুমি খেতে পেলে না প্রভু, এদুঃখ নারী ও গহিণী হৃদয়ে বাজিবেই। তারপর গানও শুনিতে পাইলে না— হাতত তাবরা লৈ নামিল সরস্বতী।