পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

을 이 অসমীয়া সাহিত্য পাঁচতুলীর নগর সোমাল ফলে কোঙর কালিন্দী ভোমরা হৈ মণিকোঙর গীতও রপেকথারই সন্ধান দেয়— শঙ্কল দেব রজারে পুতেক মণি কোঙর কিছত খাঁত খনে নাই। শঙ্কর দেব রাজার পত্র মণিকুমার। মন্ত্রীর কন্যা কাঞ্চনকুমারী তার মন হরণ করিয়াছেন এই মল তথ্য লইয়া রপেকাব্যটি রচিত। এই প্রসঙ্গে একটি কথা সমরণ রাখা কতব্য। শুদ্ধ ঐতিহাসিকতার দিক হইতে ভাষাগত ও অন্য প্রমাণের উপর নিভার করিয়া নিসংশয়িত চিত্তে বলা যায় না যে এইসব গীতিকবিতার সবগুলিই প্রাকবৈষ্ণব যুগের। অনেক সময় মনে হয়, এই পরাতন গাথাগুলির উপর সমসাময়িক ভাব ও ভাষার যথেস্ট প্রলেপ পড়িয়াছে। সেইজন্য তাহাদের বতমান রপে কোন শতাব্দীর সে কথা ঐতিহাসিকরা গবেষণা করন, কিন্তু সাহিত্যিক রসবিচারে তাহাদের মল রপে যে প্রাকবৈষ্ণবীয় যাগের সহিত সংশ্লিন্ট এইটুকুই যথেস্ট এবং সেইজন্যই ইহাদিগকে অসমীয়া সাহিত্যের আদিমযাগের অধ্যায়েই বিচার করা হইয়াছে। আর একটি কথা, যে কথাটি আমি পাবেই ইঙ্গিত দিয়াছি যে, প্রাচীন অসমীয়া সাহিত্য ও বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশ, ধীর ভাবে বৈজ্ঞানিক মনোভাব, উদার সবাদেশিকতা ও ঐতিহাসিক বিবতনের দটিতে আলোচনা করিলে দেখা যাইবে যে বহস্থেলে উদ্ধত ভাব ও ভাষা সমানভাবেই বাংলা ও অসমীয়া দাবী করিতে পারে। ইহাতে দুইপক্ষেরই অগৌরবের কিছু নাই এবং তার কারণ ঐতিহাসিক। প্রাচীন কামরাপীয় সংস্কৃতির বিকাশ মিথিলা হইতে ব্রহমপত্রের তীর অবধি। এই প্রসঙ্গে অসমীয়া সাহিত্যের খ্যাতনামা লেখক শ্রীযুক্ত ডিম্বেশ্ববর নিওগের মত প্রণিধানযোগ্য— “পব ভারতত অসমীয়া আর বাঙলা ভাষায়ো এই যুগের শেষ ভাগতহে নিজর সকেীয়া গঢ় লবলৈ ধরে। সেই কারণে অলপলৈকে বাঙলা সাহিত্যের ভিতর বা বুলি ধরা বৌদ্ধগান আর দোহার দরে, শান্যপ্রাণ, কৃষ্ণকীতন আর গোপীচন্দ্রর : বঙলা ভাষার বৈশিষট্য তেতিয়া ফটিয়া উঠা নাই, কিন্তু পাব-ভারতীয় বা বৃহত্তর কামরাপীয় ভাষার প্রাধান্য ভালদরে রক্ষিত হৈচে । সরহ নালাগে কবীন্দ্র সঞ্জয় আর অনন্ত কন্দলীর দরে ষোড়শ শতিকার অসমীয়া কবি-সকলক বঙালীয়ে বঙলা বোলা কথাই ইয়াকোহ প্রমাণ করে যে অসম বণ্ডগ আদি বতমান ভৌগলিক প্রদেশ বোধ জন্ম হোবার আগলৈকে অন্ততঃ অসম, বঙ্গ আদি সদৌ পাব ভারতর ভাষামলক আর সাংস্কৃতিক ঐক্য আটট ছিল।” এই বক্তব্যের প্রধান যুক্তি হইতেছে যে বৌদ্ধগান ও দোহা, শন্যপ্রাণ, কৃষ্ণকাঁতন, গোপীচন্দ্রের গান অসমীয়া সাহিত্যের অন্তগত বলিয়া ধরা হইয়াছে, কেননা তাহদের ভিতর তখনও বাংলা ভাষার বৈশিস্ট্য তেমন ফুটিয়া উঠে নাই । বরং তাহাদের মধ্যে পাব-ভারতীয় বা বৃহত্তর কামরুপ ভাষার প্রাধান্য ভাল ভাবে রক্ষিত হইয়াছে। আর একটি কথা, আসাম বাংলা প্রভৃতি বতমান ভৌগোলিক