পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসমীয়া সাহিত্যের শৈশব ও কৈশোর ২১ প্রদেশবোধ জন্ম হইবার পবেই এইসব অঞ্চলে এক সাংস্কৃতিক চেতনা ও ঐক্য আটট ছিল। সমস্ত কামরুপে বিশেষ করিয়া ব্রহমপত্রের উত্তরপারে (যেমন ফুলবাড়ী) বহল অঞ্চল জড়িয়া আই পজার বহর বিবরণ পাওয়া যায়। সাহিত্যেও ইহার অবদান আছে। কছাড়ীর বঢ়াড় বঢ়ী (হরপাবতী) পজা, কেচাইখাতির তামেশ্বরী , পজা, দেবী কামাখ্যার রুপান্তর, জলেপশবরের উপাখ্যান, বশিষ্ঠের কাহিনী, বারভুঞার আই পজা, তান্ত্রিক শক্তি উপাসনারই এক রােপ। ইহার সঙ্গে বেমালাম মিশিয়া গিয়াছে বৈদিক রন্দ্র, অস্ট্রিক ভূমাতা, ও কিরাতদের শিব, এমন কি নাগাদের নরখাদিনী দেবী। আই পাজার ইতিহাস অনুধাবন করিতে হইলে একটি কথা মনে রাখা চাই যে, সারা কামরুপে অষ্টম নবম শতাব্দী হইতে চতুদশ শতাব্দী পর্যন্ত তন্ত্রের প্রভাব অত্যন্ত প্রবল ছিল এবং তাহার পরও আজ পর্যন্ত তাহার একেবারে বিলুপিত হয় নাই। কামরুপের সীমানা ছিল— ত্রিংশদ যোজন বিস্তীর্ণং দীঘে্ন শত যোজনং কামরুপং বিজানাহি ত্রিকোণাকারমত্তেমম নেপালস্য কাঞ্চনাদ্রি ব্রহমপত্রস্য সঙ্গমম করতোয়াং সমাশ্রিত্য যাবদিক্করবাসিনী আবার বলা হহ മ്മബങ്ക് উত্তরস্যাং কঞ্জগিরি করতোয়াতু পশ্চিমে তীর্থশ্রেষ্ঠা দিক্ষনদী .. কালিকাপুরাণ ও যোগিনীতন্ত্রে শৈবশাক্ত আসামের একটি সম্পণে চিত্র পাওয়া যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর ধমপালের তাম্রশাসনে শিব আর পাবতীর বন্দনা আছে। নবরত্নেরশ্বর তন্ত্রে বলা হইয়াছে বৌদ্ধং ব্রাহনং তথা সৌরং শৈবং বৈষ্ণবং চ শাক্তং সকলেই তন্ত্রোপাসক হইতে পারিত। বৌদ্ধতান্ত্রিক বজ্রযোগিনী সাধনায় আঘাদানের পদ্ধতিতে ওড়িয়ান, পণগিরি, সিরিহট্টের সঙ্গে কামাখ্যার উল্লেখ প্রণিধানযোগ্য। তন্ত্রসারেও বলা হইতেছে, মলাধারে কামরুপ। সাধনমালা গাইকোয়াড় সিরিজ দ্বিতীয় ভাগে সাধন সংখ্যা ‘ওঁ কামরুপ বজ্রপাপে সবাহা এই মন্ত্রের সঙ্গে ও নমঃ সবগর বন্ধবোধিসত্ত্ব বজ্রপাপে সবাহা উল্লেখও আছে। "আইরনাম কবিতাগুলি পড়িলে মনে হয় দেবী এখানে একেবারে গায়ের মানুষ হইয়া সকলের একান্ত আপন হইয়া গিয়াছেন। আই ভগবতী আই, তোমার মান সন্দেরী নাই অবিকা চণ্ডীকা ভবানী কালিকা এইরপে ফরো বেড়াই। লক্ষ্য করিবার বিষয় যে আইদেবী অবিকা চণ্ডিকা ভবানী কালিকারই অন্যরাপ। প্রাচীন অনার্যদেবতা তামেশ্বরী, বেদোন্ত অবিকা, পরাণোন্ত ভবানী, চণ্ডিকা, কালিকা সকলেই আইদেবীর মধ্যে লঙ্গেত হইয়া গিয়াছেন, এমন কি লক্ষী সরস্বতীও ।