পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসমীয়া সাহিত্যের শৈশব ও কৈশোর ミ○ অন্য করতী মন্ত্রেও এইরুপ সমর্থন আছে—“ওঙ্কার শবদে অথব বেদ ভৈলা । অথবা বেদ আছে করতি কহে । করতির হন্তে জগত বহে। ওঙ্কার শবদে গোসাই জপিবার টললা । ওঙ্কার শবদে চারি বেদ বাঝ ।” আঙ্গিরসী অথববেদ জনসাধারণের বেদ। আথবীন, শক্তির, পণেতার, ভোগের স্বপন দেখেন। তাই এত ক্লিয়াকান্ড, এত মন্ত্রতন্ত্র। অসমীয়া মন্ত্রসাহিত্য গদ্য ও পদ্য দুই মিশাইয়া। গদ্যের মধ্যে করতী পুথি, বীরাজরা পুথি, সাপর ধারণী পুথি ইত্যাদি। শ্রীযন্ত বিরিঞ্চিকুমার বড়য়া অসমীয়া মন্ত্রগুলিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করিয়াছেন : (১) মহাপ্রতিসরা—পাপ রোগ ব্যাধি দরের জন্য (২) মহাসহস্র প্রমদিনী—ভূতপ্রেত পিশাচ তাড়াইবার মন্ত্র (৩) মহামায়ারী—সব বিষ নিবারণের মন্ত্র (৪) মহাশীতবতী—গ্রহদোষ ও জীবজন্তুর ভয় দরের জন্য এবং (৫) মহামন্ত্রানসারী—অন্যান্য নানা কমের জন্য। ইহা ছাড়াও জন্ম মৃত্যু বিবাহ প্রেম বিষয়ক নানা মন্ত্র আছে। এইসব মন্ত্রগুলির মধ্যে সাহিত্যের বীজ লক্কোয়িত। মন্ত্রগুলির পরিচয়েই তাহাদের বিষয়বস্তু পরিসফট হইয়াছে। যেমন বক্ষআরোপণ, গহকম্পন, তাম্বলঝরা, পাপঝারা, কদলীপত্রঝরা, সরিষাঝরা, দিশবন্দি ধনবোটলি, বিড়াবন্ধ ইত্যাদি। পাপঝাড়া মন্ত্রটি এইরপ— ডাহিন হাতে মালতী বাম হাতে পাপ চয় আচোক মনুষ্য দেবতা কাম্পয় কক্ষেপা অস্তগিরি করে টলবল পাতালর পরা আসি নিকালিল জল লং ইতি পক্ষেপ ঝারণং— সদশ্যনচক্র করতীতে সরসভার সন্দের সাহিত্যিক বণনা আছে। সদেশনের রোষে— প্রিথিবি লরিলা মেরগিরি টলিলেক সাগর টলিলা মন্দার লরিলা কম্পিলা সবগ মণ্ডল । মন্ত্রের নাগপাশ জড়াইয়া ধরে সাতপাকে । মুক্ত হয় আবার সেই মন্ত্রের জোরেই। মহাভীম পাতাল রাগিনী জেগে ওঠে মায়াকালী নাগিনী। সাগর দোলে, পথিবী নড়ে, মের গিরি টলে, মানুষ দেবতা সবাই কাঁপে। ডাক-ভণিতার মধ্যে আমরা জন্মপ্রকরণ, ধর্মপ্রকরণ, নীতিপ্রকরণ, রাজনীতিপ্রকরণ, বন্ধনপ্রকরণ, জ্যোতিষপ্রকরণ, গহিণীলক্ষণ, কৃষিলক্ষণ প্রভৃতি সমাজের নানাদিকের পরিচয় পাই। ধর্মপ্রকরণে দেখি— ব্রাহমণের পিতৃদেব আচন ক্ষেত্রিয় সবর পজাপালন, বৈশার বাণিজ্য ধন আজান শদ্রর স্বধম নীতি সেবন।