পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকবৈষ্ণবী ‘कञाळ*ौ? যাগ ○。 পথান পাইয়াছে। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ও মাধবদেব কদলী রামায়ণের যে প্রচুর সম্পাদনা করিয়াছিলেন তাহা তাঁহারা নিজেই বলিয়া গিয়াছেন। কারণ কন্দলীর ভণিতায় দেখি— সাতকাণ্ড রামায়ণ পদবন্ধে নিবন্ধিলোঁ। .. সাতকাণ্ড রামায়ণ বালমীকির কৃত। তার সার উদ্ধারিয়া বিচারি সন্মত ॥ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে, সাংস্কৃতিক চেতনায়, কৃত্তিবাসের রামায়ণের যে স্থান, অসমীয়া সাহিত্যে ও সামাজিক জীবনে কন্দলী রামায়ণের তদুপ পথান একথা বলিলে কিছুমাত্র অত্যুক্তি হয় না। অবশ্য ঐতিহাসিকের দটিতে এইটুকু বলা দরকার যে অসমীয়া সাহিত্য বলিতে প্রাচীন কামরাপীয় বিভাগকে সমরণ করিলেও রামায়ণী কথার প্রভাব, রামসীতার কাহিনী, আসামের অন্যত্র গিরিউপত্যকাবাসী, অহম কছারি, চুটিয়া ও অন্যান্য পাবত্য জাতির মধ্যেও ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। মাধব কন্দলীর প্রধান দান হইতেছে যে রামায়ণকে সম্পণে নতন ভাব ও ভাষায় ঢালিয়া জনচিত্তের সহিত সমতা রাখিয়া তিনি সাজাইয়াছেন। মলের সহিত প্রধান প্রধান ঘটনার বিভেদ নাই। কিন্তু লৌকিক প্রভাব ও সাংস্কৃতিক চেতনা থাকিতে বাধ্য। ফল ও ফলের বণনায় দেখি— খাজুরি, হারিঠা, আমলিখি ডহাফল। ছাতিয়ান, গরো, নারিকেল যে শ্রীফল ॥ সলঙ্গা, মহরি আর কমলা টেঙ্গারা। কদে পিছত মাদক যে সোলঙগা আমরা ॥ কদম্ব গুলাল পারিজাত অশেষ । সেউতী মালতী গুটিমালি যে বিষেশ ॥ পক্ষীর বর্ণনায় দেখি ঢোণ্ডাকাক, ময়না ঘরবো ভাটৌশালিক . .কোকিলর বার পেচা ফিঞ্চা শুকসারণী । বসন্ত-বর্ণনায় কবিত্বশক্তির বিকাশ দেখি অপ্রত্যাশিত ভাবে ফলের বর্ণনায়— দেখা দেখা জানকি ! হরিষ করি মন । ফলফলে যদুকুত বিবিধ তরবেন। জাইয়াতি বকুল বন্দলি কণিকার। কাঞ্চন তগর কন্দ সেবালি মন্দার ॥ অশোক পলাশ ফুলি গৈল হিসাহিসি । নাগেশবর চম্পক ফলিল অহনিশি ॥ রামের প্রাসাদের যে বর্ণনা আছে তাহাকে অসমীয়া ঘরসজার বণনা বলিয়া অসমীয়া পণ্ডিতগণ মনে করেন, কিন্তু এই দাবী কিছটো সত্য হইলেও সম্পণে সত্য যে নয়—সেখানে কলপনার যে আশ্রয় আছে, তাহাও দেখা যায়— রামর প্রাসাদ শোভে কৈলাস সমান। বিদ্যতের কান্তি যেন জলে থানে থান৷ সবেণীর মান্ডলি চালত বলিয়াইল । বৈদ্যয রবেলি শািন্ধ রজতেহি ছাইল ॥