পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο 8 অসমীয়া সাহিত্য কবিরত্ন সরস্বতীও আর একজন বিশিষ্ট কবি ছিলেন। তিনিও মহাভারতের দ্রোণপব অনুবাদ করিয়াছিলেন। এখানেও বিষ্ণর প্রাধান্য— বেদান্ত কাহিনী ব্যাসকে প্রণামি করতে তুতি বিচার। যতেক প্রত্যেক সকলে ততেক একে বিষ্ণমন্ত্র সার ॥ তাঁর কৈলাসবণনা অতি মনোরম। অসমীয়া কবিরা ফলের বণনায় ‘কেতকী র কনক ধত্তের’ শধে নয়, ফলিল শেফালী, পরে হালিহোলি', মন্দার, পারিজাত , কুন্দ, কুরুবক, তগর, জয়ন্ত, বকুল, অগরেন, লবঙ্গ, মালতী, চম্পা, নাগেশ্বর আরো কত কণী । নিছক কাব্য হিসাবে মাধব কন্দলীর উপমা প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যকেই দন্ত, চম্পককলিকার মত আঙল, কবনতুলা কন্ঠ, কমলসদৃশ নয়ন ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে অন্য রামায়ণী কবিদের নামও করা যাইতে পারে যদিও তাঁহারা পরবতীর্ণ যুগের। গীতিরামায়ণ ও বেহালা-আখ্যান রচয়িতা কবি দগাবর কুচবিহারাধিপতি রাজা বিশবসিংহের সমসাময়িক— কমতা ঈশ্বর বন্দো বিশবসিংহ নাপবর আটচল্লিশ মহিষী বন্দো ওঠর কোঙর নিজের বিবরণ সম্বন্ধে তিনি বলিতেছেন, ‘শ্রীকায়স্থচন্দ্রধর তান পত্র দগাবর বিরচিত গীত বিতপোন । গীতি রামায়ণে পদ ও গানের মধ্য দিয়া রামায়ণের পণ্যেকথাকে লোকরঞ্জন হিসাবে ব্যবহার করা হইয়াছে। নানা রাগরাগিণীর সঠের ব্যবহারে তখনকার দিনে নত্যগীতের যে যথেস্ট আদর ছিল এইসকল গীতিগুলিই তাহার প্রমাণ। অধ্যাপক বাণীকণ্ঠ কাকতির মতে দগাবরের গীতিরামায়ণ মলি রামায়ণের ভাষা বা ভাবানুবাদ নয়। এই মত সম্পর্ণেভাবে প্রমাণসহ না হইলেও লৌকিক ভাবের দ্বারা এইসব গীতি যে প্রভাবান্বিত হইয়াছিল তাহার প্রমাণ তাহারা নিজেই— রাগ—আহিব অ কি লখমন, গৈল সীতা মোক উপেক্ষিয়া তৃণত শয়ন মোর বলক পরিধান হে . . সহজে অঞ্চল তিরি জাতি সম্পদে সন্দেরী নারী শু আপদে পলাইলা এরি সীতা, রামকে উপেক্ষা করিয়া পলাইয়া গিয়াছেন এরপ গ্রাম্য কল্পনাও কবির মনে সথান পাইয়াছে। নানা রাগরাগিণীর সাহায্যে এইসব গান গীত হইত। গন্জেরী, পাওয়া যায় এই গীতগুলিতে। ওজা পালী গীত আজ পর্যন্ত আসামে আদরণীয়। অনন্ত কদলী শ্রীমন্ত শঙ্করদেব প্রবতিত ভাগবত ধম প্রচারের জন্য রামায়ণ পদ