পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G Ջ অসমীয়া সাহিত্য ভবানীপুর গোপালদেব বিরচিত নরনারায়ণ চিলারায়ের অসম আক্রমণের কাহিনী, ভদ্র চারদাস প্রণীত গদাধর সিংহের বৈষ্ণবনিযাতন, রন্দ্রসিংহের মোহন্তদের জয়মতীর গীত, রাধারকিমণীর গীত, মনিরাম দেওয়ানের গীত। তাহা ছাড়া দরংরাজবংশাবলীতে কোচ রাজাদের আদিকথা ও দরং রাজাদের ইতিহাস পাওয়া যায়। দরংরাজবংশাবলীর দ্বিতীয় খণ্ড সযদেববিজ কতৃক রাজা গৌরীসিংহের সমসাময়িক দরংরাজের ভ্রাতুষ্পপত্র গন্ধবনারায়ণের আদেশে রচিত হইয়াছিল। প্রত্যেক বরঞ্জী ও তাহাদের সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক মল্য নিরাপণ এখানে সম্ভব নয়। দু’একটি বরঞ্জীর সামান্য আলোচনা করা যাক। অসম বরঞ্জীর প্রথমেই প্রথম অধ্যায়ে অহম সবগদেবেদের উৎপত্তির কথা লিখিত আছে। কিবদন্তী যে, বশিষ্ঠের অভিশাপে শ্যামাবিদ্যাধরীর গভে ইন্দ্রের ঔরসে প্রথম সবগ নারায়ণদেবের উৎপত্তি। অন্য এক বরঞ্জীতে দেখি ইন্দ্র বলিতেছেন-- “আমি সকলো দেবতার মধ্যে রাজা তথাপি আমার সন্তানর পথিবীত রাজত্ব নাই। অতএব মোর সন্তানকো প্রিথিবত রজা হবলৈ পঠাও। এই বলি লাউখে অর্থাৎ বিশবকমাক আজ্ঞা দিলে। পাচে বিশবকমাই চোমদেও নামে ইন্দ্রর মনোগতরপে জন্ত্র তৈয়ার করি দিলে. খনলঙ্গে খুনলাই দুইকে পঠাবলৈ জনালত ইন্দ্রে স্বিকার করি এই আজ্ঞা করিলে বোলে খনেলঙ্গে তুই বর, রজা হবি, খনলাই সর তোর লাগত জবরাজ রাপে থাকিব।” অন্য একটি কিবদন্তী এইরুপ (ইন্দ্রবংশীয় রাজার বিবরণ, আসাম বরঞ্জী)— “শোণিতপর বা ইদানীক তেজপর জিলার অন্তগত ভৈরবী নদীর পরা দিক্করবাসিনী অথচ উজান সদিয়া কেচাইখাতী পযর্নত সেীমার পীঠ বোলে ... এক সময় শচি ও ইন্দ্র উভয়েই কামোন্মত্ত হৈ আনন্দে ক্রীড়া করি ফরিছিল। সেই পবতর গনহাতে বশিষ্ঠ মনি থাকে। তারে পরা স্নান করিবলৈ যাঁওতে তেওঁর পম্পেবাটিকাতে ক্রীড়া করা দেখি কুপিত হৈ ইন্দ্রদেবতাক অন্ত্যজ ও অন্ত্যজসত্রীত পতিত হওক বুলি শাপ দি ..” কথাসাহিত্য হিসাবে ও ভাষার মিশ্রণ ও বিকাশের পদ্ধতি হিসাবে এই বরঞ্জীগলি মল্যবান। প্রায় ছয় শত বৎসর ধরিয়া অহমরা ব্রহমপত্র উপত্যকায় ও তন্নিকটবতী রাজ্যউপরাজ্যগুলিতে আধিপত্য করিয়াছিল। প্রাচীন কামরাপীয় ভাষার উপর তাহাদের ' আনীত মনখমের টাই ভাষার কিছুটা প্রলেপ পড়িয়াছিল। কিন্তু বিজেতারাই ক্রমশঃ বিজিত হইয়া পড়িয়াছিল এবং ধম, সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান সব বিষয়ে হিন্দভাবাপন্ন হইয়া নিজেদের নাম পর্যন্ত পরিবতিত করিয়াছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম পাদে আহমরাজ সবগাদেব প্রতাপ সিংহের (১৬o৩১৬৪১ খ্রীস্টাব্দ) সময় অহম মুঘল সংঘর্ষ বাধে। মীরজমেলা অহমদের পরাজিত করিয়া সন্ধিপত্র করেন। সেই দলিলটির যে রপে অসম বরঞ্জীতে পাওয়া যায় সেটি হিন্দুস্থানী অসমীয়া সংস্কৃত, ফারসির এক সঙ্কর ভাষা। লিখিতং শ্রীরাজা জয়ধ্বজ সিংহ রাজা আচাম সুলতান সজোকে খলমকে উত্ত’ ইত্যাদি। এই বরঞ্জীতে কয়েকটি কুটনৈতিক পত্রের সারমমও উদ্ধত আছে। সেইগুলির সাহিত্যিক মল কম নয়—যেমন কোচ নাপতি প্রাণনারায়ণ লিখিলেন—আপনিও রাজ্য হারাইয়াছেন, আমিও তদুপ আমরা দুইজনেই রাজ্য ফিরিয়া পাইয়াছি। রামচন্দ্র, সরথ, যুধিষ্ঠিরও একদিন রাজ্য হারাইয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতে তাঁহাদের