পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 অসমীয়া সাহিত্য এই বরঞ্জীতে তৎকালীন ত্রিপুরার ও বাংলা সমাজের একটি অতি মনোরম চিত্র পাওয়া যায়, যেমন ত্রিপরা কটকীর রংপরত দনগোৎসব দশন ত্রিপরাত মদনপজার আড়ম্ববর, ত্রিপুরা রাজার পবপরীষের কথা। এই বরঞ্জীতে সংস্কৃতবহল দীঘলিপিগুলি পথান পাইয়া পত্রসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিয়াছে। এই সংস্কৃত লিপিগুলির সমাসের গতি থামিতে চাহেনা, বিশেষণের পর বিশেষণ বসিয়া আপ্যায়নের চড়ান্ত হইতে থাকে । সমাসবিন্যাসের প্রবল ধারায় ইহা কাদম্বরীকেও হার মানাইয়াছে। যেমন— “স্বসিত শ্রীমদ্ভবানী-পদ-পঙ্কজ-ধ লিপটল-রঞ্জিত-মনোমত্ত-মধৱেতানবরত বিস্রাবণ দ্রীকৃতি দগত দারিদ্র, করকলিত-নিসিত্রংশধারা-জজরীকৃতাশেষ-রিপাকুল নয়বিনয়-নৈপুণ্য-বশীকৃতাশেষ-বিজ-সজন, কপার-পান্ডুর যশঃপর-পরিপরিতসমস্তাশামণ্ডল, বিবিধগুণসম্পন্ন-জন-মণ্ডিত-নিজাবাসস্থল, সকল শাস্ত্রবিশারদবন্ধমণ্ডলী-পরিমণ্ডিত গোঠিকেষ শ্রী শ্রীযন্ত রন্দ্রসিংহ-মহারাজাধিরাজ-মহামহোগ্রপ্রতাপেষ। প্রবত্তি-নিবেদয়িত্রী পত্রীয়মতজঙ্গভতে।” ৬. বতমান যুগ ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত ১৮২৬ খ্রীস্টাব্দে আসামে ইংরাজশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐসময় হইতে অসমীয়া সাহিত্যের বর্তমান যুগের সচেনা বলা যাইতে পারে। এই সম্বন্ধে সবিশেষ আলোচনা এখানে সম্ভব নয়। শুধু বতমান সাহিত্যের ধারা ও প্রগতির রাপ মহাকালের ইতিহাসে ভবিষ্যতের কি ইঙ্গিত বহন করিতেছে সেইটুকুই বক্তব্য। উনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ পর্যন্ত কয়েকটি প্রসিদ্ধ লেখকের সামান্য সাহিত্যিক পরিচয়ও দিতেছি । ব্রিটিশ শাসনের প্রথম যুগে অসমীয়া ভাষা বিশেষ প্রচলিত ছিল বলিয়া মনে হয় না। তাহার কয়েকটি প্রধান কারণ হইতেছে— ১. বাংলা ভাষা ও অসমীয়া ভাষা আপাতঃদটিতে সমধমী ও এক গোত্রজ। তাহাদের মধ্যে বিচারান্তে বিভেদ পণ্ডিতদের দন্ট হইলেও সামাজিক সাধারণ মানুষের কাছে তাহা ছিল অঙগাংগীভাবে বিজড়িত। বাংলা ও অসমীয়ার দই-এর এক কুটিলা লিপি (script) ব্যবহার । মহাপরিষে শতকরদেবের যুগে বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বাহন হিসাবে মগধগোঁড়কামরপে এক ব্রজবলি ব্যবহার তাহাদের মধ্যে ঐক্যের সত্র গ্রথিত করিয়াছিল। ৪. অসমীয়া ভাষা কামরাপীয় ভাষার (অধমাগধীর অপভ্রংশ) সহিত যন্ত হওয়ায় ও প্রধানতঃ ব্রহাপত্র উপত্যকায় নিবন্ধ থাকায় অন্য উপজাতিদের মধ্যে তাহার প্রসার হয় নাই । ৫. বহল প্রাচীন যাগ হইতেই গোঁড় মগধ মিথিলা হইতে দলে দলে আযভাষাভাষী লোকেরা কামরুপে প্রবেশ করিয়াছে। ব্রিটিশ শাসনের প্রথমেও সেই ধারার পনরাবৃত্তি দেখি বিশেষ করিয়া বাঙালীদের মধ্যে। তাহারও পাবে আহমরাজ রদ্রসিংহ, রানী ফলেশবরী, রাজা শিবসিংহ প্রভৃতির