পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসমীয়া সংস্কৃতির রূপ ළු ছিলেন এবং তাহারই বতমান রপকে প্রাচীন আ হোম ভাষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করিলে বিশেষ ভুল হইবে না। কিন্তু এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, এই আহোম ভাষা বতমান বা প্রাচীন অসমীয়া ভাষা নয়। কিছু সংমিশ্রণ হইয়াছে যেমন বরঞ্জীর ভাষায়, কিন্তু অসমীয়া বলিতে প্রাচীন কামরাপীয় অধমাগধীর অপভ্রংশকেই বুঝায়। কারণ এই শানজাতীয় অহমদের আসিবার বহন পবেই, অন্ততঃ সহস্রাধিক বৎসর পাবে আয সভ্যতা ও কৃটি কামরুপে সপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, এবং আর্য ভাব, ভাষা ও সংস্কৃতি অনায আদিবাসী ও আগন্তুকদের যথেষ্ট প্রভাবিত করিয়াছিল। আযরা আসিবার পবে যে অস্ট্রিক, নিগ্রোবট, ভোটচীনরা আসামে ছিল বা পরে আসিয়াছিল তাহারা সম্পণে ভাবে আযীকৃত আজও হয় নাই একথা সত্য, কিন্তু সমীকরণের চোটা যে চলিতেছিল, বিশেষ করিয়া ব্রহমপত্র উপতাকায়, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। অহমদের সম্বন্ধেও এই প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যত্যয় হয় নাই। অহম রাজা চুংখাপা ইন্দ্রবংশীয় সবগদেবে পরিণত হইলেন। ষোড়শ শতাব্দীর সয়া দৈবজ্ঞ লিখিত দরংরাজবংশাবলীতে আছে যে, অসম বলিতে ঐ বিজয়ী শানেদেরই বুঝাইত। সপ্তদশ শতাব্দীর দৈত্যারি ঠাকুরের শওকরচরিতে শান বা আহোমদের নানাভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে। কিছর পলে রচিত কামর,প বরঞ্জীতে "আছাম’ এই কথাটি পাওয়া যায়। অসম বরঞ্জণীতে উদ্ধত (১৬৬৩ খ্রীস্টাব্দ) মীরজমেলা (মজম খাঁ) ও অহমরাজের সন্ধিপত্রের যে বিবরণ আছে তাহার বণনা এইরুপ : “লিখিতং শ্রীজয়ধ্বজ সিংহ রাজা আচাম ..”। ঐতিহাসিকেরা সকলেই স্বীকার করেন যে, আসাম নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে এখনও কোনো সন্তোষজনক মীমাংসা হয় নাই। গ্রিয়ারসন ব্রহাদেশীয় শান কথার সঙ্গেই আসামকে জড়িত করিয়াছেন। ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী শানকে মনখমের শিলালিপির শিনশ্যামের সঙ্গে যুক্ত করেন। তাই ভাষায় চাম বলিতে পরাজয় বুঝাইত । আ চাম বলিলে অপরাজেয় বুঝায়। আসামের সপ্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ডাঃ বাণীকণ্ঠ কাকতি আসমের নামকরণকে phonetic vagary বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। আমরা পবেই বলিয়াছি অসমীয়া ভাষা বাংলা ভাষার মতই মাগধী প্রাকৃতের কপভ্রংশ এবং বতমানে অসমীয়া সাহিত্য বলিতে আমরা ঐ ভাষায় লিখিত সাহিতাকেই বুঝি। অবশ্য অহম ভাষায় নিজস্ব কিছু পৃথিও পাওয়া গিয়াছে, বরঞ্জাঁতেও ও অন্যত্র তাহার নিদর্শনও আছে এবং ব্রহমপত্র উপত্যকার বাহিরে পাব'তাজাতিদেরও নিজ নিজ ভাষায কিছু সাহিত্যিক প্রকাশ আছে। এবিষয়ে খাসিরাই অগ্রণী । আসামের স্বাধীন নরপতিদের শাসনছায়ায় এবং তাহার সামাজিক জীবনের স্বয়ংসম্প,ণতায় অসমীয়া ভাষা একটি স্বাধীন ভাষায় পরিণত হইয়াছিল, যদিও তাহার সগোত্রা উত্তরবঙ্গীয় কথ্যভাষা ক্রমশঃই লিখিত ও সাহিত্যিক বঙ্গ ভাষার বশ্যতা সবীকার করিয়াছিল। মোটকথা, শান জাতির অহম শাখার লোকেদের আগমনের বহল পাবেই এখানে অস্টিক, নিগ্রোবট, বোডো, তিব্বতীয় দ্রাবিড় মোঙ্গলীয় এবং আয্যেরা আসিয়াছেন এবং আয্যেরা সম্প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শুধু মগধ গৌড় হইতেই লোক আসে নাই, মিথিলা কনৌজ কাশমীর গজের দাক্ষিণাত্য হইতে বৌদ্ধ শ্রমণ আসিয়াছে, তান্ত্রিক কাপালিক আসিয়াছে, সহজিয়ার দল, নাথসম্প্রদায়ীরা আসিয়াছে। তাহার পরেও