পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশলতিকার সন্ধানে S সন্ধানে বাহির হইতে পারে, সে উত্তরমেরু-অভিযানে একঘণ্টার নোটিশে যোগ দিতে পারে, মাত্র একটা ছোট সুটকেসের মধ্যে টুথব্রাশ আর তোয়ালে পুরিয়া। চৈত্র মাস। স্টেশনেব পেছনে মাঠের ধারে বড় একটা নিম গাছ। ফুটন্ত নিমফুলের ভুরিভুরে সুবাস বাতাসে। নিমগাছ। অবশ্য তাদের আলিগডেও আছে, কিন্তু এমন রহস্যময়ী অজানা সন্ধ্যা মাঠের প্রান্তে তাহার জীবনে ক’টা নামিয়াছে ? নীরেন জানে, যদিও সে দিল্লী ও আলিগড়ে মানুষ, একবার কাণপুরে আসিয়া ভাবিয়াছিল প্রায বাংলাদেশের কাছে আসিয়া পড়িযাছে বুঝি। পাঞ্জাবের অসম জলহাওয়ায তাব শরীর গডিয়া উঠিয়াছে-হয় ভীষণ শীত, নয়তো দুৰ্দান্ত গরমএকশো বত্রিশ ডিগ্রী উত্তাপের হাওয়া গা হাত পা পুডইয়া বহিতেছে—সেখানে গ্রীষ্মের দুপুরে বসিয়া বসিয়া বাদশাহী তয়খানা ও সুন্দরী ইরাণীদের স্বপ্ন লু'র আগুনে ঝলসাইয়া যায় । নীবেন মাঠের মাঝখানের পথ বাহিয়া হন হন করিয়া হঁটিয়া চলিল। দূত্র মাঠের প্রান্তে চাদ উঠিতেছে--নিশ্চয় আজ পূর্ণিমা, নতুবা সন্ধ্যার পরে চাদ উঠিবে কেন ? দুখানা গ্রাম পথে পডে• • • • • • রাস্তার ধারে দাডাইয়া গ্রাম্য লোকেরা দেখিতেছে । একজন বলিল-কনে যাবা ? -- বামচন্দ্রপুর । -दातौँ क८न ? 一夺司夺门列1 কলিকাতা বলাই সহজ, কারণ আলিগড় বলিলে ইহারা কিছুই বুঝিবে না। কিছুদূর গিয়া আর একটি ক্ষুদ্র পল্লী-নীরেন্দ্র নাম জিজ্ঞাসা করিল। রাস্তার ধারেই একটা পুরনো কোঠাবাড়ী, গোটা দুই নারিকেলগছ, দুটি বড় ধানের গোলা নারিকেল গাছটির তলায়। জন পাঁচ ছয় লোক গোলার কাছে উঠানে বসিয়া তামাক খাইতে থাইতে কথাবার্ত্তা বলিতেছে-নীরনকে দেখিয়া বলিল-বাড়ী কোথায় ?