পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমপিটিশন SSRS) যে পুজো পেলে খেতে চায় না। তবে বেশি আর কম। কেউ চায় ষোড়শোপচারে পুজো, কারো বা চাল কলা, কারো চিনির নৈবিদ্বি-ঢের ঢের দেখলাম হে, যেখানে ভেবেচি এর কাছে কেমন করে যাবে, এত বড় পদস্থ লোকপূজো দাও, বাস সব ঠিক ! সবাই সমান, তবে ওই যে বল্লাম, বেশি আর কম। চুরি করার সুবিধে জোটেনি। যার, সেই সাধু। বেলা একটার সময় একটি রোগা, দীর্ঘ চেহারার সাহেবি পোশাকপর লোক শিবশঙ্করের আপিসে এসে ঢুকলো । শিবশঙ্কর বল্লেন-কি খবর ? আসুন, বসুন। -বডড বেশি চায়। -कऊ ? - সাড়ে পাঁচ কোরে কাঠা । শিবশঙ্কর বিস্ময়ের সুরে বল্লেন-জমি কার ? ব্যাঙ্কের ? -আজ্ঞে না, মাগনলাল মুখনলাল ক্ষেত্রীর । একবার মর্টগেজ আছে। রেজিষ্ট্ৰী আপিস সার্চ করা হয়েচে । --বড় বেশি দিব বললে না ? -ও অঞ্চলে ওর কম দর নেই। এর পরে সাত পর্য্যন্ত উঠবে। ন’ কাঠা একসঙ্গে আর পাওয়া যায়না স্তার। আপনি কাল নিজে একবার চলুনবায়নাপত্তর রেজেষ্ট্রী না করলে দু তিনটে খদের মুখিয়ে রয়েচে । এই সময় টেলিফোন বেজে উঠলো। অল্প খানিকক্ষণ কথা বলে শিবশঙ্কর ফোন রেখে সামনের লোকটিকে বল্পেন-অ্যাটনির আপিস থেকে বলচে হরিশ মুখুয্যের স্ট্রীটের বাড়ীটা এখুনি দেখতে যেতে হবে । চলুন না বাড়ীটা দেখে আসবেন উভয়ে মোটরে বার হোয়ে সোজা হরিশ মুখুয্যে স্ট্রীটে সেই নম্বরের বাড়ীর সামনে এসে দেখলেন। মিঃ ঘোষাল তাদের পুর্বেই সেখানে মোটর থামিয়ে অপেক্ষা 夺颈〔冈1