পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিন্দিমের নীচে >8ல் সুর ওর । গান গাইতে গাইতে ওর চোখে জল এল, গাল বেয়ে জল পড়তে লাগলো। “ও আমার হৃদ-কমলের পরামগুরু সাই”- এই কথাটা বার বার ছিল গানের মধ্যে । গান শেষ করেও বার বার বলতে লাগলো-কিছু খাওয়াতে পারলাম না, বাবাঠাকুর । একটা পাকা তাল নিয়ে যাও, বড় করে দিতে বলে তোমার মাসিমাকে । আমার ভযা এখন সম্পূর্ণরূপে কেটে গিয়েছিল। আমি বল্লাম-তুমি কি করা এখানে ? পাগল ঠাকুর হা হা করে হেসে উঠে আমার দিকে চাইল। তারপর সস্নেহ সুরে বল্লে-বাবাঠাকুরের কথা শোনো । হাসতে হাসতে মারি যে ! খুব আনন্দ জুটিয়ে দিলেন আজ সন্দেবোলা গুরুগোসাঁই। বলে কিনা-কি করা ? আমি এখানে থাকি বাবাঠাকুর। আর কি করবো ? গুরুগোসাইকে ডাকি । --কে সে ? –૭ફે., eફે -- পাগল আঙলি তুলে আকাশের দিকে দেখিয়ে বল্লে—উনি। আমার খুব ভাল লাগছিলো এই অদ্ভুত লোকটাকে । এই অল্পক্ষণের মধ্যেই আমি তার দিকে যথেষ্ট আকৃষ্ট হয়ে পড়েচি, দেখলাম। এই সময় সন্ধ্যের অন্ধকার নামলো । গায়ের রোয়া আর দেখা যায় না । ও উঠে দোরে জল দিয়ে ধুনো জালালে। উঠোনের একটা ইটের মত উঁচুমত ख्त्राभू?ाigङ ०° নিয়ে গিয়ে রেখে দিলে। আমি বল্লাম-তোমাদের তুলসীগাছ নেই ? -কেন। বাবাঠাকুর ? --আমাদের বাড়ী আছে। মাসিমা পিদিম দেয় সন্দেবোলা । -তুলসী রাখিনে তো বাবাঠাকুর। গুরুগোসাঁই ওই পিঁড়িতেই আছেন। তুলসী কি হবে ?