পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A6ło অসাধারণ --তুমি পুজো কর না বুঝি ? তুলসী পাতা না হোলে পূজো হয় না। পাগল ঠাকুর হেসে বল্লে-হয় বাবা, হয়। কেন হবে না ? সক ফুলে, সব পাতাতেই তার পূজো হয়। তবে পূজো-আচ্চা আমি করিনে বাবা। -কার না ? -না, বাবাঠাকুর। আমি ছোট জাত, বুনো। তেনার পুজো কি কত্তে পারি। আমি ? গুরুগোসাই পাযে রাখেন যদি তবে আর পূজোর দরকার কি ? ফুল বেলপাতা দিয়ে পূজো করবে তোমরা-বাওনের। আমাদের ছোট জেতের হাতে ও সাজে না। পূজো কত্তে নেই আমাদের । --তুমি তো ভাল লোক । -6क दक्ष डांभि उठाल 6लांक ? -সবাই বলে, আমি শুনিচি । —তুমি যখন বলচে বাবাঠাকুর, তখন ভালই হবে। এই সময় আমার মাসতুতো ভাই ফিবে এসে আমায় ডাক দিল, তার সঙ্গে আমি বাড়ী চলে গেলাম। বাড়ী যাওয়ার আগে ওরা আমাকে তাল দিলে, শস) দিলে, আবার আসতে বলে দিলে । পাগল ঠাকুরের সঙ্গে আমার এই প্রথম দেখার পরে প্রায় পাঁচ বছর কেটে গেল। মাসিমার বাড়ীর সেই গ্রামে আমাব যাওয়া ঘটেনি এই পাঁচ বছরের মধ্যে । ১৯১৩ সালে তৃতীয় শ্রেণীতে প্রমোশন পেয়ে ইস্কুলের ঝক্কি কিছুদিন এড়াবারু জন্যে চলে গেলাম আবার মাসিমার বাড়ী । মাসিমা বল্লেন-এসো, এসে বাবা । বুড়ে মাসীকে ভুলেই গেলে । থাক -থাক্‌-বেঁচে থাকো, দীর্ঘজীবী হও । আমার মনে আছে, দু’একটা কথার পরে আমি বুড়ীকে জিগ্যেস করলাম — মাসিম, সেই পাগল ঠাকুর আছে তো ?