পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SG R অসাধারণ করে আছে তখনও। আবার তাদের সেই দুখানা খড়ের ঘর, নিকোনো পুছোনো গোবর-লেপা উঠোন, ঝিঙের-ফুল-ফোটা গঙ্গার তীরে অপরাহ শোভা কতকাল পরে দেখলুম। পাগল ঠাকুরের দাড়ি আরও শাদা হয়ে নারদ মুনির মত দেখতে হয়েচে । তবে বাৰ্দ্ধক্যজনিত কোনো শীর্ণত্ব বা দৌর্বল্য নেই শরীরে। খুব শক্ত সমর্থ, লাঠি লাঠি চেহারা। মুখে সেই হাসি। এবার আর আমি নিতান্ত বালক নেই। অনেক জিনিস বুঝি। আগের ভয় আর নেই। বল্লাম -তোমাকে বড় ভাল লেগেছিল সেবার-<ডড মনে হোত তোমাকেহেসে বল্লে—গুরু-গোসাঁইয়ের কৃপা বাবাঠাকুর, তুমি ষে পতিতপাবন, পতিতাকে উদ্ধার করতে আসবা না ? —ওসব কথা আমায বলতে নেই। তুমি আমার নাম মনে রেখেচ যে দেখচি ? --তুমি আমায় মনে বেখেছিলে, তাই আমিও তোমা'র কথা মনে রেখেছিলাম। আয়নায় মুখ যে বাবাঠাকুর। যেমন দেখাও তেমনি দেখি । -একটা গান করাওকে আর দ্বিতীয়বার খোসামোদ করতে হোল না ; সেবার কাবের সেই বৃদ্ধাকেও দেখলাম। এবার। তাকে ডেকে বল্লেী-একতারাটা দ্যাও তো । পতিতপাবন ঠাকুরকে একটা গান শোনাই-কিন্তু বাবা, একটা কথা বলি ? বলে সে হাসি-হাসি মুখে আমার দিকে জিজ্ঞাসু নেত্রে চাইলে । আমি বল্লাম-কি ? ও একটা আলাভোলা, অসহায় ধরণের অনুরোধ যেন কারচে, এমনি ভাবে বল্লে-আমি যেমন তোমায় গান শুনিয়ে গেলাম, তুমি পতিত উদ্ধার করতে এমনি ধারা আসবা তো-বলি হঁ্যা গা ? ও ঠাকুর ?--

, ও পাগলামি সুরু করেচে। আবার । কাকে কি বলে যে !