পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV o অসাধারণ তো। তুমি চলে গেলে আমার বডড কষ্ট হবে দিন কতক। বিকেলটা কাটবে না। গুরুগোসাইয্যের ইচ্ছে • • • বলে সে দীর্ঘশ্বাস ফেললে। সেই মুহূর্ত্তে ও আমার বড় কাছে এসে পড়লো, আর দূরের লোক রইল না। বাকি দুদিনও রোজ বিকেলে ওখানে যাই । বুনোদের সেই ছোট ছেলে এবই হযে গিয়েচে । সে দেখি রান্নাঘরে আউশ চালের পান্ত ভাত আর বেগুন পোড়া আপনিই হঁাড়ি থেকে বেডে নিচে দিব্যি। নিজের ঘরের 习了1 পাগল ঠাকুর আমায় নিয়ে ছোট ঘরের দাওয়ায় বসে আর গান করে। একতারা বাজিয়ে ওর বেসুরে গলাব্য যখন গান করে, তখন প্রতিদিন এই গঙ্গার চরে যেন কোন বিরাট দেবের আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করি • • • ওদিকে বিষ্ণুপুর গ্রামের বঁাশবন, ঘোষপাডার বাবুদের লিচুবাগান-সব কেমন অদ্ভুত মনে হয়, সরাটির চরের কাশীবনের পেছনে মস্ত আকাশটা লাল হয়ে ওঠে অস্ত-সুর্য্যের আভায় । আমার অল্প বয়েস বলেই হোক বা যে জন্তেই হোক, কি অদ্ভুত টান যে হয়ে উঠেছিল পাগল ঠাকুরের ওপর ! এখন মনে ভাবলে আশ্চর্য্য হই। বাল্যের সে কয়টি দিনের আনন্দ আর ফিরে পাবে না, তেমন ধরণের আনন্দ ও আর পাইনি কখনো । পাগল ঠাকুর গান থামিয়ে একতারা নামিয়ে রেখে একগাল হেসে বল্লেআনন্দ করে, আনন্দ করে, আনন্দ করবার জন্যেই এই একপাশে পড়ে আছি। গুরু-গোসাইয়ের দয়ায় শুধু আনন্দ নিয়ে আছি। ওর হাসি ভরা উজ্জল চোখ দু’টি" আর নারীদের মত সাদা দাড়ি, শিশুর মত সরল মুখ ওর কথার সত্যতা সপ্রমাণ করতো।--সেই আনন্দ ছোয়াচে রোগের মত পেয়ে বসতো সবাইকে, যে ওর সংস্পর্শে আসতো । এর একটা উদাহরণ মধ্যে একদিন প্রত্যক্ষ করলাম। কোথা থেকে একদল