S8 নদীর ধারের বাড়ি স্নান করতে পারলে কি আনন্দই পাওয়া যেতো। কিন্তু তা হওয়ার জো নেই। এক একজন ছোবড়া আর সাবান নিয়ে নামবে ওপর থেকে, আধা ঘণ্টা ধরে থাকবে । প্রথমে নামবে অভয়া, তারপর নামবে মতির দিদি, এরা দুজনেই ভীষণ ঝগড়াটে। যতক্ষণ তারা কলতলায় গা ধোবে, ততক্ষণ কলে এক ঘটি জল কারো নেবার জো নেই-তাহলেই বাধবে ধুন্দুমার ঝগড়া । অভয়া বাঙালি দেশের মেয়ে । বেশ সুন্দরী ও স্বাস্থ্যবতী । শ্যামলীকে ডেকে বল্লে-ও দিদি, কি হচেচ ? -কুটনো কুটচি ভাই । -কি কুটনো ? - ঝিঙে আর ঢেড়স। আলু তো বারো আনা সের উঠেচে ! আমাদের সাধিতে কুলোলে তো কিনবো ! -C3a caci (b. ? -- না ভাই, বুধবারে আসবে। --"আমায় আধাপোয় চিনি দিতে পারবে দিদি তোমাদের রেশন থেকে ? -আসুক আগে, দেখবো এখন । এদের মধ্যে সবাই সমান অবস্থার মানুষ। কেরাণীর বীে । পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া দ্বন্দ্ব করে এদের দিন কাটে। পান থেকে চুণ খসলেই আর নিস্তার নেই। বিশ্বাস গিন্নি দলের মোড়ল, ওপরের ভাড়াটেদের সর্দার । তিনি সকলের হয়ে ঝগড়া করতে এগিয়ে আসেন। তঁর সর্দারিতে ওপরের মেয়েরা কোমর বঁাধে, তাদের মধ্যে একজন হচ্চে এই অভয়া । দেখতে সুন্দরী হলে, কী হবে, যেমনি স্বার্থপর তেমনি কুটিল মন । এই যে বল্পে চিনি দিতে হবে, “ন’ বল্পে আর রক্ষে আছে ? কোন কালে এক বাটি নুন ধার দিয়েছিল, সেই ঘটনার উল্লেখ করে খোটা দিয়ে বলবে বরিশালের টানে— আমরা কি কোনদিন কিছু কাউকে দিই না কি ! সময়ে অসময়ে নুন রে তেল রে-তা নিয়ে মনে
পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।