পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb- অসাধারণ মঙ্গলের সৃষ্টি হোল । মতির মা গিয়ে সাতখানা করে লাগিয়েচে তাদের কাছে । তেল থাকতেও দিতে চাচ্ছিল না, বোতল দেখতে চাইলুম, তাই তো দিলে । এমন ছোট নজর তো কখনো করতে পারিনে আমরা । এই যে সেদিন বোশেখ মাসে ওঁর পেটের ব্যথা ধরলে রাত্তিরে, যদুবাবু সোডা চেয়ে নিয়ে যান নি আমাদের এখান থেকে। দিই নি আমবা ? লোকের কাছে হাত পেতে যেমন নিতে হয়, তেমনি দিতেও হয়। তবে লোকে মানুষ বলে । তার পরের দিন। আর কলতলায় যাওযা যায় না। বড় বড বালতি, ঘডা আর টাব পড়লো একের পর এক সকাল থেকে। সে সব সরিয়ে এক বালতি রান্নার জল নিতে গেলেও ঝগড়ায় মুখর হয়ে উঠবে সারা বাড়িটা-সেকথা শ্যামলী ভাল রকমেই জানে। অনেকবারের অভিজ্ঞতায় জানে। সুতরাং আযাঢ় মাসের গুমটি গরমে বেলা এগারোটা পয্যন্ত তাকে অস্নাত অবস্থায় থাকতে হোল । এগারোটার পর কালের জল কখন চলে গেল। যখন সে নাইতে গেল, তখন চৌবাচ্চায় ইঞ্চি চারেক মাত্র জল। কাকের মুখ থেকে তার মধ্যে 9S5 SVS I এই সময়ে একদিন যদুবাবু এসে বল্লেন, ওগো শোনো, একটা সন্ধান পেয়েচি । রাণাঘাট থেকে নেমে যেতে হয় প্রায় এগারো মাইল উত্তরে, বল্লভপুল বলে পাড়াগা । সেখানে কলকাতার এক বড় লোকের জমিদারী কাছারি ছিল, বিক্রি করে ফেলেচে । জমিদারি বিক্রি হয়ে গিযেচে, কাছারি বাডিটাও ওরা আলাদা বিক্রি করবে। মাঝে মাঝে যেতো বলে কাছারিবাড়ির সংলগ্ন দোতলা বাডি তৈরি করেছিল, ওপরে নিচে পাচখানা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘব, নাইবার ঘর সব আছে। দশ বিঘে জমির ওপর কাছারিবাড়ি, তাতে আম কঁঠালের গাছ, কলাগাছ আছে। বাডির সেই জমির নিচে দিয়ে একটা ছোট নদী বযে যাচ্চে, তাতে জমিদার বাধানো ঘাটলা করে দিয়োচেন, বাড়ির মেয়েরা যখন গিয়ে থাকতো, তাদের নাইবার সুবিধার জন্যে। সবসুদ্ধ তিন হাজার সাড়ে তিন