পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদীর ধারের বাড়ি వ হাজার টাকা হোলে বাড়িটা পাওয়া যায়-জমিগুদ্দু-বিনবো ? প্রভিডেন্ট ফণ্ডের টাকা সব যদি তুলে নিই -অত কমে হবে ? —পাড়ার্গ। কে সেখান খদ্দের হচ্চে ? যদ্দূর শুনলাম, চাষা গা। গাঁয়েও অত টাকা দিয়ে কেনবার লোক নেই। - টাকা দেবে কোথা থেকে ? -প্রভিডেণ্ট ফণ্ডের টাকা সব তুলে নিই। তোমার গহনা কিছু দাও আর ইনসিওয়েন্স কোম্পানীর কাছ থেকে কিছু ধার করি। আমার কাছেও সামান্য কিছু আছে। শ্যামলীর মন নেচে উঠলো। কতদিন সে পাড়াগায়ের মুখ দেখেনি। বাপের বাডি ছিল হুগলী জেলার তারকেশ্বর লাইনে দাসপুর গ্রামে। সে বংশে বাতি দিতে কেউ নেই। জ্ঞাতি কাকারা পর্য্যন্ত উঠে এসে কলকাতা বাস কারচেন, ঘোর ম্যালেরিয়া, চলে না। সেখানে থাকা । श,ि ७ उ१ शुभ्र ! ভগবান কি এত দয়া করবেন ? তা কি তার কপালে সম্ভব হবে ? শ্যামলী বল্লে-কিন্তু তুমি কোথায় থাকবে ? — কেন, সেখানে । -আপিস ? -চাকুরী ছেড়ে দেবো। একঘেয়ে হয়ে গিয়েচে এ জীবন। আর ভালো লাগে না। স্বাস্থ্য যেতে বসেচে। একটু সাহস করে দেখি, যা আছে কপালে। ওখানে জায়গা জমি নিয়ে চাষবাস করবো । --ছেলে দুটোর লেখাপড়া ? --রাণাঘাটে বোর্ডিংয়ে থাকবে। সে ব্যবস্থা হয়ে যাবে এখন। আর এ যা লেখাপড়া শিখচে, এ শিখে তো কেরাণী হবে ? তার চেয়ে ভালো কাজ