পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ ऊद्र° -আমিই থাকতাম। আপনার মাইনে লাগবে না, আমাদের দুটো খেতে て7てマa I -কেন তোমার শ্বশুরবাড়ি ? মেয়েটি কোনো জবাব দিল না। অত শত হাঙ্গামাতে আমার দরকার কি ? লেখার দেরী হইয়া যাইতেছে। সোজাসুজি বলিলাম-না, লোকের এখন দরকার নেই আমার । তারপর মেয়েটি বাডির মধ্যে ঢুকি ল এবং পরে শুনিলাম সে ভিক্ষা করিতে আসিয়াছিল। চাল লইয়া চলিযা গিয়ছে। মেয়েটির কথা ভুলিয়া গিয়াছিলাম, হঠাৎ একদিন দেখি, রায়েদের বাহিরের ঘরের পৈঠায় বসিয়া সেই মেয়েটি হাউমাউ করিয়া এক টুকরা তরমুজ খাইতেছে । যে ভাবে সে তরমুজের টুকরাটি ধরিয়া কামড় মারিতেছে, “হাউমাউ” কথাটি সুষ্ঠু ভাবে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং ঐ কথাটাই আমার মনে আসিল । অতি মলিন বস্ত্র পরিধানে। ছেলেটি ওর সঙ্গে নাই। পাশে পৈঠার উপরে দু-এক টুকরা পেঁপে ও একখণ্ড তালের গুড়ের পাটালি। অনুমানে বুঝিলাম আজ অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে রায়-বাডি কলসী-উৎসৰ্গ ছিল, এসব ফলমূল ভিক্ষা করিতে গিয়া প্রাপ্ত। কারণ মেয়েটির পায়ের কাছে একটা পোটল এবং সম্ভবত তাহাতে छिश्वाञ्च °iाeद्मा bाव्न । সেদিন আমি কাহাকে যেন মেয়েটির সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলাম। শুনিলাম মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি যায় না, কারণ সেখানকার অবস্থা খুবই খারাপ, দু’বেলা ভাত জোটে না । চালাইতে না পারিয়া মেয়েটির স্বামী উহাকে বাপের বাড়ি ফেলিয়া রাখিয়াছে, লইয়া যাইবার নামও করে না। এদিকে বাপের বাড়ির অবস্থাও অতি খারাপ। রামচরণ বেষ্টমের বিধবা স্ত্রী লোকের বাড়ি বি-বৃত্তি করিয়া দুটি আপোগণ্ড ছেলেমেয়েকে অতি কষ্টে লালন-পালন করে। মেয়েটি মায়ের