পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপদ VS হইলে হাজুর সেদিনকার খাওয়া দেখিতে হয়। স্ত্রীকে বলিয়া দিলাম-একটু মাছটাছ বেশি করে দিয়ে ওকে খাওয়াও• • • । একদিন বোষ্টমপাড়ার হরিদাস বৈরাগীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমাদের পাড়ার হাজু শ্বশুরবাড়ি যায় না কেন ? -ওকে নেয় না। ওর স্বামী । - কারণ ? -সে নানান কথা। ও নাকি মস্ত পেটুক, চুরি করে হাঁড়ি থেকে খায়। দুধের সর বসবার জো নেই কড়ায়, সব চুরি করে খাবে। তাই তাড়িয়ে f(3(5 -এই শুধু দোষ ? আর কিছু না ? - এই তো শুনিচি, আর তো কিছু শুনিনি। তারাও ভাল গোরস্ত না ! তাহোলে কি আর ঘরের বেীকে কেউ তাড়িয়ে দেয় খাওয়ার জন্তে ? তারাও তেমনি । কিছুদিন আর হাজুকে রাস্তাঘাটে দেখা যায় নি। একদিন তাদের পাড়ার বোষ্টমবেী বলিল-শুনচেন কাণ্ড ? --কি ? --সেই হাজু আমাদের পাড়ার, সে যে বনগায়ে গিয়ে নাম লিখিয়েচে । আমি দুঃখিত হইলাম। এদেশে নাম লেখানো বলে বেশ্যাবৃত্তি অবলম্বন করাকে । হাজু অবশেষে পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করিল। খুব আশ্চর্যের বিষয় নয় এমন কিছু, তবু দুঃখ হয়। গ্রামের মেয়ে বলিয়া । এখানেই এ ব্যাপারের শেষ হইয়া যাইত হয়তো, কারণ গ্রামে সব সময়ে থাকি-ও না, থাকিলেও সকলের খবর जद अभभ कigन€3 अigन न । পঞ্চাশের মন্বন্তর চলিয়া গেল। পথের পাশে এখানে ওখানে আজও দু-একটা কঙ্কাল দেখা যায়। ত্রিপুরা জেলা হইতে আগত বুভুক্ষু নিঃস্ব হতভাগ্যেরা