পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিন 8S কথা । হরিশ মুখুজ্যে রোডের বাড়ীখান। একবার দেখবেন ? আজই যেতে হয়। ওদের এটর্ণির বডড প্রেস করচে। কাল আপনাকে ভাবলাম একবার ফোন করি। ক'টার সময় সুবিধে হবে ? ওর চেয়ে ভালো আর পাবেন নাতবে বায়নার আগে রেজিষ্ট্ৰী আফিসগুলো একবার সার্চ করতে হবে। সে আমি করিয়ে দেবো, আপনাকে কিছু করতে হবে না। চা ? এত বেলায়া-আচ্ছা, তা-চিনি কম দিয়ে, হঁ্যা কিংবা আসবে গলির জীবন মুখুজ্যে, ওর ভাইপোর একটা চাকরীর জন্যে অনুরোধ করতে। তিনি যত বলেন আজকাল তার হাতে কিছু করবার নেই, চাকরী কোথা থেকে করে দেবেন-ততই তঁকে আরও চেপে ধরে। বাড়ীর ভেতরে যে থাকবেন, সেখানেও বিপদ কম নয় । গৃহিণীর নানা রকম তাগাদ -- ভাগনে-জামাইয়ের বাড়ী তত্ত্ব না পাঠালে নয়, ওপরের ঘরের পাখ্যাখানা মেরামত করে দাও-নানা ফৈজৎ । তার চেয়ে এই বেশ আছেন । পাশের বেঞ্চিতে একজন বৃদ্ধ লোক নাক টিপে বসে জাপ কিংবা প্রাণায়াম করচে। ওদিকের বেঞ্চিতে একটি যুবক বসে লেকের জলের দিকে চেয়ে রয়েচে । এত সকালে আর কোনো দিকে কোনো লোক নেই । হঁ্যা, যা ভাবছিলেন। জীবনটা যেন কি রকম হয়ে গেল। রাতুলপুরের সেই দিনগুলি এই সকালবেলার রোদের মত স্বপ্নমাখা ছিল। এখন সে স্বপ্নের আবেশও স্মৃতি থেকে টেনে আনতে পারেন না। সেই রাতুলপুরের স্কুলের চটাওঠা দেওয়ালটা । নবীন নাপিত চাকর ঘণ্টা বাজাতো । তার জন্যে টিফিনের সময় বাজার থেকে নিমকি রসগোল্লা এনে দিত। নবীনের ছেলেটি মারা গোল টাইফয়েডে, ফ্রি পড়তো স্কুলের নিচের ক্লাসে। তার জন্যে একদিন স্কুল বন্ধ হোল । হেডমাস্টার ছিলেন গুরুচরণ সান্যাল । অনেক দিনের প্রবীণ শিক্ষক । তাকে বলতেন, আপনি হচ্চেন। ইয়ংম্যান, কেশববাবু এ সব স্কুলে আপনার