পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসাধারণ ܓ ত্রিশ বত্রিশের বেশি হইবে না। মেয়েটির পরনে তালিলাগানো শাড়ী, কিন্তু ময়লা নয়— মুখশ্রী একসময় বেশ ভালোই ছিল বোঝা যায, দেহ খুব সম্ভবত ख्वनाशgन्न ७ भ]ाgव्लझेिशाश्व ीि । মেয়েটি বারান্দার প্রান্তে দাড়াইয়া বলিল-ও ডাক্তারবাবুসীতানাথ ডাক্তার উহাদের দিকে একটু তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে চাহিয়া বলিলেন -কি চান ? -বাবু, এ কে একটুখানি দেখতি হবে। সীতানাথ ডাক্তার বুঝিয়াছিলেন ইহাদের দ্বারা বিশেষ কোনো অর্থাগমের আশা নাই- যত বড় কঠিন অসুখই হউক না কেন। দুর্ভিক্ষপীডিত চেহারা । পরনে তো ওই কাপড় । মাথা তৈলাভাবে রুক্ষ । রোগীর মধ্যে গণ্য করিয়া উৎফুল্প হইবার কোনো কারণ নাই । তোমাক টানিতে টানিতে বলিলেন-হয়েচে কি ? মেয়েটি বলিল-হবে ‘আর কি। ওঁর জর ছাড়ে না। আজ দু’মাস । তার ওপর মেহ। শরীর একেবারে ভেঙে দিয়েচে । আমার উনি ছাড আর কেউ নেই। আপনি দয়া করে দেখুন।-বলিয়া মেযেটি প্রায্য কঁাদিয়া ফেলিল। সীতানাথ ডাক্তার বুলিল্লেন--সবে এসে এদিকে - পরে রোগী পরীক্ষা করিয়া বলিলে ~ হু, দেখবো কি, এর মধ্যে অনেক রোগ । কদিন এমন হযেচে ? পুরুষটি এবার ক্ষীণাসুরে বলিল-ত বাবু অনেক দিন। আমি আজ তিন চার মাস ভুগচি। আর এই কাশি, এ বিছুতি যাচ্ছে না মেয়েটি হাত তুলিয়া অধৈর্য্যের সুরে বলিল—তুমি চুপ করে দিকিনি!! খুব খ্যামোতা তোমার! আমার হাড় মাস জালিয়ে খেলে তুমি- তিন মাস ওঁর অসুখ তাহার পর আমাদের দিকে ফিরিয়া বলিল- ওঁর কথা শোনবেন না। ওঁর