পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ হারুণ-অল-রাসিদের বিপদ জানিপুর থেকে দুটি ছেলে পড়তে আসে ইস্কুলে। এ অঞ্চলে আর ইস্কুল নেই, ওদের বাড়ীর অবস্থা ভালো, যদিও সাতপুরুষের মধ্যে অক্ষরপরিচয় নেই, তবুও বাপমায়ের ইচ্ছে, যখন ধান বেচে কিছু টাকা পাওয়া গেল, তখন ছেলেরা লেখাপডা শিখুক । চাষা লোকদের জন্তেও লেখাপড়ার দরকার আছে বই কি। ধানের হিসেব, জন মজুরেব হিসেব রাখাও তো চলবে। ওরা আসে মাদলার বিলের ধাবের বডি মাঠের ওপর দিযে। আজকাল সকালে ইস্কুল, সোদালিফুলের ঝাড দোলে মাঠেব মধ্যে, কত কি পাখী ডাকে, বড় বড় খোলাওয়ালা গেড়িগুলো বিলের দিকে নামে মাঠের পথ বেয়ে, আশা ধানের জাওলা খায় লুকিয়ে ছাড গৰুতে। ওবা পরামাণিকদেব বাগানের আম কুড়িতে কুড়িতে চলে আসে মাঠ ও বাগানের মধ্যে দিয়ে, যদি সামনে বিপিন মাষ্টারের বেতের ভয় না থাকতো ইতিহাসের ঘণ্টায়, তবে বড় মজাই হোত । কিন্তু তা হবার নয, এমন সুন্দর পথযাত্রার শেষে অপেক্ষা করচে রুক্ষমূর্ত্তি বিপিন মাষ্টার ও তার হাতের খেজুর ডালের বেত । একটি ছেলের নাম হারুণ, আর অপরটির নাম আবুল কাসেম । দুটি বেশ দেখতে, পাড়াগায়ের ছেলে, শান্ত চেহারা, অতি সরল, কলকাতা তো দূরের কথা, মহকুমায় টাউন বনগাঁও কখনো দেখেনি। আবুলের হাতে অনেক গুলো পদ্মফুল, মাদলার বিল থেকে তুলেচে, ক্লাসের টেবিল সাজাবে, ফণি মাষ্টার ফুল ভালবাসেন, उंक ऊि श८द । হারুণ বল্লে-এই আবুল, এচিড় পাডুবি ? -কোথাকার রে ?