পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\99 অসাধারণ হাতে ভ্যানিটি-ব্যাগ ঝুলিয়ে, খাটো ছাতা-হাতে ট্রাম ধরতে ছুটতো ঠিক বেলা সাড়ে দশটায়। যেখানে খুসি তুমি যাও, সিনেমা দ্যাখো, নাচগানের खलनों छांथी पीछे-q-श्राम्राटद्र-केि भछ ! সকালবেলা। ওর বড়-জা এসে বল্লে-রাঙা-বেী, এক কাজ করতে ८ ८ ! সুলেখা বল্লে-কি দিদি ! -কলাইয়ের ডাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এগুলো ছাদে নিয়ে গিয়ে রোদে দাও, তারপর বেলা পড়লে ঝেড়ে তুলতে হবে। বুঝলে ? -6ሞጫ ! -পারবে তো ? --করিনি কখনো, তবে চেষ্টা করি । সুলেখা ডাল ছাদে দিয়ে এসেছে, তারপর আর ডালের কথা ওর মনে নেই। দুপুরে আহারের পরে একটু শোবামাত্র ওর ঘুম এসেচে। বেলা দু’টোর সময় কালো-ভোমরার মত মেঘ ক’রে নেমেচে ঝম কম জল ৷৷ ও অঘোরে ঘুমুচ্চে তখন। ঘুম যখন ভেঙেচে, তখনও সমানে বৃষ্টি হচ্চে। শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি খান-ডোবা ভর্ত্তি করে ফেলেচে দু’ঘণ্টার মধ্যে। সুলেখা উঠে চোখ মুছতেমুছতে জানাল দিয়ে দেখে অবাক হয়ে গেল। বৃষ্টির এমন রূপ। সে সহরে দেখেনি কখনো। বকুল গাছের গুড়িটা কালো দেখাচ্ছে বৃষ্টির ধারায় । ছাতারেপাখীগুলো অঘোরে। ভিজচে-এ যেন রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতাটার কথা Na de Gif এদের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই সময় খেতে হয় গরম-গরম চা । সে নতুন-বেী, চা তৈরি করতে যেতে পারে না। কিন্তু কারো কি সেদিকে দৃষ্টি আছে, না কেউ কিছু বোঝে ?-ও-মাগো, ওদের বাড়ির বুড়ীটা কি ক’রে ভিজচে এই জলে নারকোলপাত কুড়তে। পাড়াগেয়েদের কাণ্ডই আলাদা।