পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেঁতুলতলার ঘাট tre পালালো। মনোভাবলে-বুড়ে এসে পড়লেই বকতো, আমায় দেখতে পারেনা মোটে। কি কেপ্লন মণ্টটাে! একগাল মুড়ি কত ক’টা দিলে অ্যাথো-দিব্যি মচমচে মুড়িতারপর সে বাড়ী পৌছে দেখলে তার মা সামনের উঠোন ঝাট দিচ্চে। খাবার দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা ও উদ্যোগ কিছুই নেই। এ বাড়ীতে । মা ওই এক রকমের লোক হারু জানে । অন্য লোকের মায়ের মত নয় । কাল রাতে যে খাইনি, জানো সবই, দ্যাও না বাপু খেতে সকাল সকাল। কাণ্ডখানা বেশ! একটু বেলা হোলে মা যদিও খেতে দিলে, সে মাত্র একবাটি সাবু। সে প্রতিবাদ করতে গেলে ওর মা ঝঙ্কার দিয়ে বলে উঠলোঁ-হঁ্যা তোমাকে নুচি ভেজে দিই, পিটেপুলি গড়িয়ে দিই, কাল সারারাত জরে শুষোছে কিনা ! যেন জ্বর না হোলেই মা তাকে লুচি ভেজে আর পিটেপুলি করে খাওয়ায় আমার কি ! সে এ বাড়ীতে নয়। এ বাড়ীর বাধা আছে চালভাজা, তিনশোত্রিশ দিন। লুচি ! কিন্তু ভাত ? মা! কি আজ ভাতও খেতে দেবে না। নাকি ? কথাটা সে ঘুরিয়ে জিগ্যেস করলে। -ভাত খাওয়ার সময আমায় সেই গাওযা ঘি একটু দিতে হবে কিন্তু-ख्ाऊ २Iहद ८क ? -८दकान, अभेि । -ইস! বলে, কত সাধ যায় রে চিতে, মলের আগায় ঘুষ্টি দিতে-সারারাত জরে কেঁ কেঁচা কবে ওনার ভাত না খেলে চলবে কেন । -কি খাবো। তবে ? --শিউলিপাতার রস তো খেলিনে সকালবেলা। একটু বেলা হোলে দেবে। অখন পাতা বেটে-আর সাবু। হারু মিনতির সুরে বল্লে-না সাবু নয়, দুখানা রুটি, মাছের ঝোল দিয়ে। তোমার পায়ে পড়ি মা- পুৱনে জর তো, ওতে কিছু হবে না।